images

জাতীয়

নারী প্রার্থীদের জন্য আলাদা আসন ও সহিংসতামুক্ত ভোটের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম

জাতীয় সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে নারী প্রার্থীদের জন্য পৃথক আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন নারী নেত্রীরা। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে ও পরে নারী প্রার্থী ও ভোটারদের ওপর সহিংসতা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংলাপে তারা এমন পরামর্শ দেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় সংলাপে ইসি কর্মকর্তাসহ অন্যরা অংশ নেন।

নিজেরা করি-এর সমন্বয়কারী খুশী কবীর বলেন, যে পদ্ধতিই হোক না কেন নারীদের সরাসরি নির্বাচন অবশ্যই চাচ্ছি। আবার ফ্রি, ফেয়ার ও ক্রেডিবল ইলেকশন যেন হয়। এই নির্বাচনে নারীরা সরাসরি নির্বাচিত হলে তারা সংসদে ভূমিকা রাখতে পারবেন। তবে মব ভায়োলেন্স কালচার নারীদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নেতিবাচক দিক হতে পারে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী ডা. ফাওজিয়া মোসলেম বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নারী বিদ্বেষী, সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এই তিনটি বিষয়ে নজর রাখতে হবে। প্রার্থীদের মানবিক গুণ থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে যেসব এলাকায় মব ভায়োলেন্স ও নারী নির্যাতন হয়, সেসব এলাকার দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখলে নারীরা নিরাপদ বোধ করবেন। নির্বাচন জেন্ডার ফ্রেন্ডলি করতে হলে যে স্টেকহোল্ডাররা আছেন তাদের মানসিকতাকে জেন্ডার ফ্রেন্ডলি করতে হবে।

নারী নেত্রী শিরিন হক বলেন, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সংসদের আসন বৃদ্ধি হয়নি। সেখানে আমরা বলেছি ৩০০ আসনের পরিবর্তে ৬০০ আসন করতে হবে। একটি নির্বাচনের আসনে দু’টি আসন থাকবে। যেখানে একটিতে শুধু নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আরেকটিতে নারী পুরুষ যে কেউ করতে পারবে। পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতি সমর্থন করি।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা মুক্ত নির্বাচন যাতে হয় সেটা আমরা চাই। নারী প্রার্থীরা নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়। কারণ তাদের বিরুদ্ধে নারী বিদ্বেষী প্রচারণা করা হয়। এবারও আমরা এমন শঙ্কা করছি এবং নারী যারা ভোটার তারা অনেক ধরনের হুমকির মুখে থাকেন। এই জায়গায়গুলো কীভাবে বন্ধ করা যায় তা নির্ণয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে বড় ধরনের প্রত্যাশা থাকবে।

উইম্যান ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মিষ্টি আশরাফুন নাহার বলেন, প্রতিবন্ধী মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের সময়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এমএইচএইচ/এফএ