images

জাতীয়

পৃথক সার্ভিস কমিশনসহ গণভোট আয়োজনের দায়িত্ব পেল ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪১ এএম

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে পৃথক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে পারবে সংস্থাটি। যার নাম হবে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি গণভোট ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে সাংবিধানিক এই সংস্থা।

রোববার (৫ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন-২০০৯ সংশোধন করে এমন বিধানের অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর এই আইন সংশোধনে ইসি’র দেওয়া ওই প্রস্তাব অনুমোদন করে সরকার।

নতুন অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের জন্য ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ নামে একটি সার্ভিস থাকবে।
এ ছাড়া আইনটির ৪ নম্বর ধারায় সংশোধন এনে কমিশনের দায়িত্ব ও কার্যাবলী আরও বিস্তৃত করা হয়েছে। সংশোধিত ধারায় কমিশনের সহায়তার জন্য ১৪টি নির্দিষ্ট দায়িত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—

জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান; ভোটাধিকার বাস্তবায়নে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার রক্ষণাবেক্ষণ; নির্বাচনি আসনসীমা নির্ধারণ; সংসদ, স্থানীয় সরকার ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ গণভোট আয়োজন; ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও গেজেট প্রকাশ; রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, প্রতীক বরাদ্দ ও সংলাপ আয়োজন; নির্বাচনি কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তালিকা সংরক্ষণ; ব্যালট পেপারসহ মালামাল মুদ্রণ ও সংরক্ষণ; ফলাফল সংগ্রহ, একত্রীকরণ ও গেজেট প্রকাশ; স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ট্রাইব্যুনাল গঠন; নির্বাচন সংক্রান্ত গবেষণা ও তথ্য প্রদান; নির্বাচনের পর প্রতিবেদন প্রস্তুত ও প্রকাশ এবং নির্বাচনি আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ।

এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কমিশনের প্রশাসনিক কাঠামো ও কার্যপরিধি আরও স্পষ্ট করার কারণে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আরও স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে আয়োজন করতে পারবে সংস্থাটি।

এমএইচএইচ/এফএ