নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ জুন ২০২২, ০২:০৮ পিএম
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ির শনিরআখড়ায় অবস্থিত দনিয়া কলেজ। প্রতিবছরই এই কলেজের মাঠসহ আশপাশের জায়গায় বসে কুরবানির পশুর হাট। এবারো তার ব্যতয় ঘটেনি। ঈদুল আজহার দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসতে শুরু করায় এই হাটে চলছে প্রস্তুতির তোড়জোড়। হাটকে সাজাতে ব্যস্ত সময় কাটছে ইজারাদাররা। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বেশি পশু আসবে এমন প্রত্যাশা করে নেওয়া হয়েছে বাড়তি প্রস্তুতিও।
বুধবার (২৯ জুন) সরেজমিনে দনিয়া মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহখানেক আগ থেকে চলছে হাটটির প্রস্তুতি কাজ। মাঠসহ রাস্তার পাশ দিয়ে প্রায় অর্ধকিলোমিটার জুড়ে বাঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে গরু রাখার শেড। তবে শেডের ওপরে এখনো ত্রিপল বসানোর কাজ শুরু হয়নি। নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াচটাওয়ার, মূল মঞ্চ (হাসিলের স্থান), মোবাইল ব্যাংকিং বুথ। বাকি এই কাজগুলো শেষ হতে আরও তিন-চারদিন সময় লাগবে।
ইজাদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাটে ২০ হাজার গরু ও ৪ হাজার ছাগল রাখার ব্যবস্থা আছে। বিগত দুইবছর করোনা মহামারী থাকায় বেচাকেনা তেমন একটা জমেনি। নানা বিধিনিষেধ থাকায় ক্রেতারাও খুব একটা হাটে আসেননি। অনলাইনেই অনেক কিনেছেন কুরবানির পশু। এবার মহামারী অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবং বিধিনিষেধ খুব একটা না থাকায় ক্রেতারা হাটে এসে কোরবানির পশু কিনবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাই বিগত দুই বছরের থেকে বেশি বেচাকেনা হবে এমন প্রত্যাশা করে আমরা বাড়তি প্রস্তুতিও নিয়েছি।
হাটের পাশের চা দোকানি রেজাউল ইসলাম বলেন, কুরবানির হাট উপলক্ষ্যে অনেক ক্রেতারা আসেন। বেশ ভালোই বেচাকেনা হয় এই হাটে। ক্রেতা বাড়লে গরুর পাশাপাশি আমাদের চা দোকানেও বিক্রি ভালো হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
হাটের ইজাদার যাত্রাবাড়ি থানার ৪৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন গেসু বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি নিয়েছি। যে কাজগুলো বাকি রয়েছে তাও দুই একদিনের মধ্যে শেষ হবে। এবার আগের বছরের তুলনায় হাটে বিক্রি ভালো হবে বলে প্রত্যাশা করছি। ক্রেতাদের সহযোগিতার জন্য আমাদের স্বেচ্ছাসেবী টিমও রয়েছে। তারা কাজ করবেন।
তিনি বলেন, জাল টাকা শনাক্তের যন্ত্র বসানো হবে। পশু চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীদের দেখতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও রাখা হবে। হাটের সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে গাফিলতির সুযোগ নেই।
এসএএস/এএস