নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ জুন ২০২২, ১০:২৬ এএম
পাইলট প্রকল্পের আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৬টি পশুর হাটে (গাবতলী, বসিলা, আফতাবনগর, ভাটারা, কাওলা ও উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর) পবিত্র ঈদ-উল-আজহার পশুর হাট চলাকালীন ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হাটগুলোর সংশ্লিষ্ট ইজারাদাররাও এধরণের জনহিতকর কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত পোষণ করে এ প্রকল্পে সর্বাত্মক সহায়তা করছেন। হাটগুলোতে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে কার্ড স্কিম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মাস্টারকার্ড, ভিসা ও আমেরিকান এক্সপ্রেস; ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন ও পরিচালনার জন্য লিড ব্যাংক হিসেবে ৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংক (ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড); এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে বিকাশ লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক এম ক্যাশ একযোগে কাজ করছে।
এ প্রকল্পের আওতাধীন হাটগুলোতে একটি করে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হবে যেখানে ক্রেতারা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পিওএস (POS) এ, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কিউআর কোডের মাধ্যমে অথবা বুদ্ধে স্থাপিত এটিএম মেশিন থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করেও বিক্রেতাকে পশুর মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। পাশাপাশি ইজারাদারদের কাছে প্রদেয় পশুর হাসিল নগদ অর্থ ছাড়াও ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পিওএস (POS) মেশিনে অথবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। প্রান্তিক খামারি এবং সংশ্লিষ্ট ইজারাদারদের স্বার্থে পাইলট প্রকল্পের অধীনে সম্পাদিত ডিজিটাল লেনদেনে কোনো (কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে MDR এবং IRF চার্জ এবং MFS ব্যবহারের ক্ষেত্রে ক্যাশ আউট চার্জ) প্রযোজ্য হবে না।
পাইলট প্রকল্প একদিকে ক্রেতার নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি, নকল বা ছেঁড়া/ফাটা নোট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে এ ব্যবস্থার ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পশু বিক্রেতা প্রান্তিক খামারি ও ব্যবসায়ীরা নগদ অর্থ বহন সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্ত হবেন। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ভবিষ্যতে অর্থায়ন, ডিপোজিট সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন, যা সার্বিকভাবে দেশজ অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। এর ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে দেশের অন্যান্য হাটেও এ ধরণের উদ্যোগের পথ সুগম হবে।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, গত বছর থেকে কোরবানির হাটকে ডিজিটাল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জনগণকে আমরা এবার গরুর হাটের উৎসবের আমেজকে ডিজিটাল করতে চাই। সেটা হলো ডিজিটাল লেনদেন। তাহলে কোনো ঝুঁকি থাকবে না। জাল টাকার লেনদেনও থাকবে না।
ডিএইচডি/এইউ