নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ জুন ২০২২, ০৭:৩৬ পিএম
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়েতে সব ধরনের যানবাহনের জন্য টোল নির্ধারণ করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এতে এক্সপ্রেসওয়ে পার হতে একটি ট্রেইলারকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৬৯০ টাকা টোল দিতে হবে। আর সর্বনিম্ন টোল ধরা হয়েছে ৩০ টাকা, যা দিতে হবে একটি বাইক পার হতে।
বুধবার (২৯ জুন) মন্ত্রণালয়ের টোল ও এক্সেল শাখার উপসচিব ফাহমিদা হক খানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কে ১ জুলাই শুক্রবার থেকে নতুন টোল হার কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে এই এক্সপ্রেসওয়ে পার হতে একটি ট্রেইলারকে দিতে হবে ১ হাজার ৬৯০ টাকা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা গোলচত্বর থেকে শুরু হয়েছে পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ে। দৃষ্টিনন্দন এই সড়কটি দিয়ে সরাসরি ওঠা যায় দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতুতে।
ভাঙ্গা উপজেলার বগাইল এলাকায় পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে টোলপ্লাজা। পদ্মা সেতু চালু হলেও কবে নাগাদ এক্সপ্রেসওয়ে চালু হবে তা জানা যাচ্ছিল না। গত সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে জানানো হয়, আগামী ১ জুলাই থেকে এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে টোল আদায় শুরু হবে। এজন্য এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা যানবাহনগুলোকে সরকারকে নির্ধারিত পরিমাণ টোল দিতে হবে।
বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের (এন-৮ এক্সপ্রেসওয়ে) অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য অনুমোদিত যানবাহনের শ্রেণি এবং টোল হার নির্ধারণ করা হলো।
৫৫ কিলোমিটারের টোল হার অনুযায়ী, ট্রেইলার ১ হাজার ৬৯০ টাকা, হেভি ট্রাক ১ হাজার ১০০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ৫৫০ টাকা, বড় বাস ৪৯৫ টাকা, মিনি ট্রাক ৪১৫ টাকা, মিনিবাস ২৭৫ টাকা, মাইক্রোবাস ২২০ টাকা, ফোর হুইলচালিত যানবাহন ২২০ টাকা, সেডান কার ১৪০ টাকা, মোটরসাইকেলে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ধোলাইপাড় থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত মোট ছয়টি টোল বুথ থাকবে। মাওয়া প্রান্তে আবদুল্লাহপুর, ধলেশ্বরী, শ্রীনগর পর্যন্ত তিনটি এবং পদ্মা সেতু পার হয়ে, কুলিয়াবাজার, মালিগ্রাম ও ভাঙ্গা পর্যন্ত আরও তিনটি টোল বুথ থাকবে। একটি বুথ দিয়ে ঢুকলে সেই গাড়িকে কমপক্ষে পরবর্তী টোল বুথ পর্যন্ত টাকা দিতে হবে।
এমআর