images

জাতীয়

নুরুল হকের মরদেহে অগ্নিসংযোগ জঘন্যতম অপরাধ: প্রেস উইং

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবি করা নুরুল হক বা ‘নুরা পাগলা’র মরদেহ কবর থেকে তুলে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই সঙ্গে দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে সরকার জানিয়েছে, গোয়ালন্দে নুরুল হকের কবর অবমাননা ও মরদেহে অগ্নিসংযোগ দেশের মূল্যবোধ, আইন এবং সভ্য সমাজব্যবস্থার প্রতি সরাসরি আঘাত। এ ধরনের বর্বরতা কোনো অবস্থায়ই সহ্য করা হবে না।

দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের বর্বরতা কোনো অবস্থায়ই সহ্য করা হবে না। জীবিত ও মৃত–সবার মর্যাদা রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দায়মুক্তি পাবে না।

ঘৃণা ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে মর্যাদা, ন্যায় ও মানবিকতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে হবে সরকার জনগণের প্রতি আহ্বান জানায়।
দুপুরে জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়ায় নুরুল হকের মরদেহ কবর থেকে তুলে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয় তৌহিদি জনতা। এ সময় দরবার শরিফ ও বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘নুরাল পাগলা’র লাশ তুলে আগুন, দরবারে হামলা-ভাঙচুর, আহত শতাধিক

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সম্প্রতি নুরুল হকের কবর মাটি থেকে কিছুটা ওপরে দাফন করে সেখানে কাবা শরিফের আদল তৈরি করা হয়েছিল। এ নিয়ে তৌহিদি জনতার মধ্যে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। স্থানীয় প্রশাসন দু’পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিল। তবে জুমার নামাজের পর পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে আসা তৌহিদি জনতা হামলা চালায়।

একপর্যায়ে নুরাল পাগলের দরবারে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেন তৌহিদী জনতা। পরে তার মরদেহ কবর থেকে তুলে গোয়ালন্দ পদ্মার মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় এবং পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে ৬ পুলিশ সদস্য আহত হন। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের ওপরেও চড়াও হন তৌহিদী জনতা।

এমআর