বোরহান উদ্দিন
২৬ জুন ২০২২, ০৩:৩৮ পিএম
পদ্মা সেতুতে টোল দেয়ার পর এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যেতে কোনো বাধা নেই। তাই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস নিয়ে ছুটছেন সবাই। সেতুতে ওঠার পর থেকে সর্বোচ্চ গতিতে চলছে যানবাহন। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকরা বেশি বেপরোয়া হয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন। কেউ ঝুঁকির কথা মাথায়ও আনছেন না।
অবশ্য যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়ার প্রথম দিন যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা কম থাকায় কোনো ধরনের বিপদের মুখে কাউকে পড়তে দেখা যায়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি চললে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত সেতু এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
যদিও সেতুতে সাদা মার্ক করে লেখা রয়েছে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার।
এদিকে অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যাও বেশি দেখা গেছে। কারণ প্রথম দিন হওয়ায় অনেকে ইতিহাসের অংশ হতে সেতুতে এসেছেন। কেউ আবার পরিবার পরিজন নিয়েও ছুটে এসেছেন।
আবার একসঙ্গে বন্ধুরা মিলে একাধিক মোটরসাইকেলে করে সেতু পার হয়েছেন। ঘুরতে আসা অনেকের মাথায় হেলমেটও ছিলো না।
মিরপুর থেকে আসা সোহেল আরমান ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা তিনজন এসেছি। মোটরসাইকেলে টোল মাত্র একশো টাকা। দুইশো টাকায় পদ্মা সেতু ঘুরে দেখবো এটা তো অনেক বড় পাওয়া।
তবে সবার মধ্যে যেন এক ঈদের আনন্দ লক্ষ্য করা যাচ্ছিলো। মুখে ছিল হাসির ঝিলিক।
রায়ের বাজার থেকে আসা মো. হানিফ ঢাকা মেইলকে বলেন, নিজে ইউটিউবে কনটেন্ট নিয়ে কাজ করি। পদ্মা সেতুতে নতুন অনেক কনটেন্ট তৈরির সুযোগ আছে তাই সকাল সকাল চলে এসেছি। একসঙ্গে দুই কাজ হয়ে গেছে।
পদ্মা সেতু পারাপারে সরকার নির্ধারিত টোল হার- মোটরসাইকেল ১০০ টাকা, কার ও জিপ ৭৫০ টাকা, পিকআপ ১ হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১ হাজার ৩০০ টাকা, ছোট বাস (৩১ আসন) ১ হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) ২ হাজার টাকা, বড় বাস (থ্রি-এক্সেল) ২ হাজার ৪০০ টাকা, ট্রাক (পাঁচ টন পর্যন্ত) ১ হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (পাঁচ টনের বেশি ও সর্বোচ্চ আট টন পর্যন্ত) ২ হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৮ টনের বেশি ও সর্বোচ্চ ১১ টন) ২ হাজার ৮০০ টাকা, ট্রাক (থ্রি-এক্সেল পর্যন্ত) ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ট্রেইলার (ফোর-এক্সেল পর্যন্ত) ৬ হাজার টাকা।
তবে সেতুতে সাইকেল, সিএনজি ও অটোরিকশা চলার সুযোগ রাখা হয়নি।
বিইউ/ একেবি