images

জাতীয়

পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠনের প্রভাব, সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৮:২২ এএম

পার্বত্য চট্টগ্রামে সক্রিয় সাতটি সশস্ত্র সংগঠনের কারণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করছেন, সমতলের মতো পাহাড়ে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন করা কঠিন হবে।

গত সোমবার (২৫ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংসদীয় আসনের শুনানিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি শিক্ষার্থী পাইশিখোই মারমা এ আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেন, সমতলের মতো পাহাড়ে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ বর্তমানে সাতটি সশস্ত্র সংগঠন সক্রিয় এবং এগুলোকে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার ও ভারত পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের এক-দশমাংশ এলাকা। অথচ এই অঞ্চলের মানুষ বঞ্চিত। উন্নয়ন ও অধিকার নিশ্চিতে আমাদের সংসদীয় আসন সংখ্যা তিন থেকে আটে উন্নীত করা জরুরি।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী সাদাত ফরাজি সাকিব বলেন, প্রায় ১৯ লাখ মানুষের বসবাস পার্বত্য চট্টগ্রামে। অথচ তাদের রাজনৈতিক অধিকার সীমিত রাখা হয়েছে। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে পার্বত্য অঞ্চলের অধিকার আগে নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তিনটি জেলার জন্য মাত্র তিনটি সংসদীয় আসন যথেষ্ট নয়। তাই স্থানীয়দের রাজনৈতিক অধিকার সংরক্ষণে আসন সংখ্যা বাড়াতে হবে।

ওইদিন ইসিতে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন তারা। ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি -১ (রামগড়, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি ও গুঁইমারা), খাগড়াছড়ি-২ (মাটিরাঙা, মহালছড়ি, পানছড়ি), খাগড়াছড়ি-৩ (খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা) নিয়ে গঠনের দাবি জানানো হয়। রাঙামাটি-১ (বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল), রাঙামাটি-২ (সদর, কাউখালি, ননিয়ারচর), রাঙামাটি-৩ ( জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, রাজস্থলী), বান্দরবান-১ (সদর, রুমা, থানছি, রোয়াংছড়ি), বান্দরবান-২ (লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি) নিয়ে আসনগুলো গঠনের দাবি জানানো হয়।

গত সোমবার দ্বিতীয় দিনের সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে শুনানিতে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২০টি আসনে ৫১৩টি আবেদনের শুনানি হয়েছে। এর মধ্যে ইসির প্রকাশিত খসড়ার বিপক্ষে ২৩৮টি এবং পক্ষে ২৭৫টি আবেদনের শুনানি হয়েছে।

২৬ আগস্ট ঢাকা অঞ্চলের ৩১৬টি দাবি-আপত্তির শুনানি হবে। ২৭ আগস্ট রংপুরের ৭টি, রাজশাহীর ২৩২টি, ময়মনসিংহের ৩টি, ফরিদপুরে ১৮টি এবং সিলেট অঞ্চলের ২টি দাবি আপত্তির শুনানি হবে। শুনানি শেষে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি।

এমএইচএইচ/এফএ