জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৫ জুন ২০২২, ০৭:২৫ পিএম
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। ধর্মপরায়ণ কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর বেশ সুনাম আছে। সচিবালয়ের মসজিদে ইমামতি করার ইতিহাসও আছে তাঁর। এবার তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সিনিয়র নেতাদের নিয়ে মোনাজাত করে আলোচনায় এসেছেন।
শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১২টার দিকে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগ মুহূর্তে সবাইকে নিয়ে মোনাজাত ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তাঁর মোনাজাতে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যরা ‘আমিন’ ‘আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত করে তোলেন পুরো এলাকা।
এর আগে বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় নিজ হাতে টোল দিয়ে সেতু এলাকায় প্রবেশ করেন। বেলা ১২টার দিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও মুরাল-১ উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান। ফলক উন্মোচন শেষে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন প্রধানমন্ত্রীসহ উপস্থিত অতিথিরা।
এর আগে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে নেওয়া কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সেখানে তিনি বক্তব্য শুরু করেন আউজুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহসহ। এক পর্যায়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, 'আসুন, আমরা সবাই মিলে একটু মোনাজাত করি।' প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির পর তিনি শুরু করেন মোনাজাত।।
সব ষড়যন্ত্র পেছনে ফেলে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রীর জন্য সবার কাছে দোয়া চান তিনি।
করোনা মহামারি ও বন্যা কবলিত মানুষের নিরাপত্তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ করেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সাধারণত এই ধরনের আয়োজন, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় এমন কর্মসূচিতে কোনো আলেম বা মসজিদের ইমামকে দিয়ে দোয়া করানো হয়। খোদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব দোয়া পরিচালনা করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।
দুই বছর আগে সচিবালয়ে মসজিদে ইমামতি করেন জনপ্রশাসনের ডাকসাইটে এই কর্মকর্তা। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর সবাই তাঁর বেশ প্রশংসা করেন। এছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে ধার্মিক ও সৎ হিসেবে খন্দকার আনোয়ার ইসলামের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে।
বিইউ/জেবি