নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ জুন ২০২২, ০৭:০১ পিএম
আগেই জানানো হয়েছিল পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন অর্থাৎ ২৬ তারিখ ভোর থেকেই চলবে যানবাহন। সে মোতাবেক সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সেতু উদ্বোধনের পর বিকালে সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ সেখানে কোনো যানবাহন চলাচল করবে না। রোববার সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’
৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হল। এই ২১টি জেলার মাওয়া রুট ব্যবহারকারী বাসগুলো এতদিন ফেরিতে পারাপার হত। এখন সেতুতে চলবে।
পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ থাকায় রোববার ভিড় হবে বলে ধরে নিচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প পরিচালক শফিকুল বলেন, ‘শুরুর দিন যানবাহন ব্যাপক চাপ হবে বলে আমরা ধারণা করছি। আমাদের টোলপ্লাজার কর্মীদেরও সেভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, তারা ভিড় সামলাতে পারবে। এছাড়া সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্যও সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।’
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে টোল দিয়ে প্রথম পদ্মা সেতু পার হন। সেতুতে টোলের হার ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে।
ছোট বাসে ১৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে ২০০০ টাকা এবং বড় বাসে ২৪০০ টাকা টোল দিতে হবে। ছোট ট্রাকের টোল ১৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে ২১০০-২৮০০ টাকা, বড় ট্রাকে ৫৫০০ টাকা। পিকআপের টোল ১২০০ টাকা।
কার ও জিপের টোল ধরা হয়েছে ৭৫০ টাকা, মাইক্রোবাসে ১৩০০ টাকা। মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে চাইলে টোল দিতে হবে ১০০ টাকা।
পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াতকারী বেশিরভাগ পরিবহনের বাস ছেড়ে যাবে ঢাকার সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে।
বৃহ্ত্তর দক্ষিণবঙ্গ কোচ ও বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শনিবার জানান, সায়েদাবাদ থেকে আগে যেসব বাস ছেড়ে যেত, রোববারও সেগুলো ছেড়ে যাবে।
‘আমাদের এদিক থেকে চলাচলকারী বাসগুলো বন্ধ ছিল অনেকদিন। সেই সব বাসই যাবে। এছাড়া হানিফ, গ্রিনলাইনসহ কয়েকটি পরিবহনের বাসও যাওয়ার কথা রয়েছে।’
গ্রিনলাইন পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুস সাত্তার শনিবার জানান, পদ্মা সেতু হয়ে সাতক্ষীরা, বেনাপোল, খুলনা, যশোর, বরিশাল ও কুয়াকাটায় যাবে তাদের বাস।
তিনি বলেন, আমাদের সব গাড়িই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। রুট পারমিট নেওয়া ছিল, কাল সকাল থেকেই আমরা এই রুটে বাস চালাব।’
একেবি