images

জাতীয়

বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ জুন ২০২২, ১১:২৯ এএম

পদ্মা সেতু শুধু ইট, সিমেন্ট, স্টিল, কংক্রিটের অবকাঠামোই নয়, এই সেতু বাংলাদেশ ও বাঙালির অহংকার-গর্ব-সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১১টায় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে সুধী সমাবেশে বক্তব্যকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, কোটি কোটি দেশবাসীর সঙ্গে আমিও আজ আনন্দিত, গর্বিত এবং উদ্বেলিত। অনেক বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে আজ বহু কাঙ্ক্ষিত সেতু দাঁড়িয়ে গেছে। এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়, এ সেতু আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই সেতু বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, সাহসিকতা, সহনশীলতা এবং আমাদের প্রত্যয়।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘সম্মানিত সুধিমন্ডলী আজকে বাংলাদেশ আনন্দিত। আমিও আনন্দিত এবং গর্বিত। অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করেই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করেই আমরা আজকে এই পদ্মা সেতু নির্মাণ সক্ষম হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বোচ্চ মান ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এই সেতু ভূমিকা রাখবে। এটি বহুমুখী সেতু। এখানে রেল চলাচল করবে। ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। খরস্রোতা পদ্মা পাড়ি দিতে আর ঝুঁকি নিতে হবে না। পদ্মার ওপারের মানুষ চিরদিনই অবহেলায় ছিলাম আর অবহেলায় থাকতে হবে না। আমি বিশ্বাস করি জিডিপি আরও বাড়বে। দারিদ্র হ্রাস পাবে। শিল্পায়নের গতি ত্বরান্নিত হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম। অংশ নিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।

এর আগে সকাল ১০টার কিছু আগে ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে থেকে হেলিকপ্টার যোগে মাওয়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেখানে সুধী সমাবেশে যোগ দেন।

সুধী সমাবেশে বক্তব্য প্রদান শেষে পদ্মা সেতু’র উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান। সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১টা ১৫ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেবেন তিনি।

এরপরর সড়ক পথে জাজিরা প্রন্তের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু পার হয়ে তিনি ১১টা ৪৫ মিনিটে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন করে আবারও মোনাজাতে অংশ নেবেন।

সেখান থেকে ১১টা ৫০ মিনিটে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করবেন। পরে কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেবেন সরকারপ্রধান।

ডব্লিউএইচ/কারই/এমআর