images

জাতীয়

কাফরুলে নারী খুন, সাবেক স্বামীকে গ্রেফতার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১১ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৩২ এএম

সাবেক স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় মো. শফিকুল ইসলাম কাজী (২৬) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ।

শনিবার (০৯ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার কলাগাছিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক শফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়

কাফরুল থানা সূত্র জানায়, ২০২৮ সালের ১৯ এপ্রিল সুমি আক্তার ও শফিকুল ইসলাম কাজী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তাদের পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে ২০২৫ এর ৩০ জুন সুমি আক্তার তার স্বামীকে তালাক দেন। তালাকের পরও উভয়ে পাশাপাশি বাসায় বসবাস করতেন এবং তাদের মধ্যে তালাক নিয়ে বিরোধ অব্যাহত ছিল। তাদের একমাত্র সন্তান বাবার কাছে থাকতো এবং সুমি আক্তার মাঝেমধ্যে খাবার নিয়ে গিয়ে সন্তানকে খাইয়ে দিতেন। গত ২১ জুলাই সন্ধ্যায় কাফরুলের বাইশটেকি, ইমামনগর এলাকায় সুমি আক্তার যথারীতি ছেলের জন্য খাবার নিয়ে তার সাবেক স্বামীর বাসায় যান এবং সন্তানসহ একসাথে রাতের খাবার খান। রাত তিনটার দিকে শফিকুল রুমে তালা দিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ছেলে কান্নাকাটি করতে থাকে। এ সময় তাদের প্রতিবেশী সামিয়া আক্তার ও তার স্বামী রাসেল খেয়াল করলে শফিকুল তার ছেলেকে রেখে চাবি নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা তখন বাসার মালিক মো. হায়দার আলীকে ডেকে আনেন কিন্তু শফিকুলের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পরদিন সকালে উপস্থিত লোকজনের সামনে বাসার মালিক শফিকুলের বাসার তালা ভেঙে প্রবেশ করে দেখেন যে লাল-সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ঢাকা অবস্থায় সুমি আক্তারের লাশ খাটের নিচে পড়ে আছে এবং গলায় ওড়না পেঁচানো রয়েছে। তাৎক্ষণিক কাফরুল থানায় সংবাদ দেওয়া হলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। পরে সেটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। 

এ ঘটনায় ডিএমপি কাফরুল থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে মদনগঞ্জ নৌ-পুলিশের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার কলাগাছিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক শফিকুলকে গ্রেফতার করে।

শফিকুলকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

এমআইকে/এএস