নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ জুন ২০২২, ০৮:০২ পিএম
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও সমমনা বিভিন্ন সংগঠন। মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও যোগ দেন৷
শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের শুরুর স্থান রাজধানীর ধোলাইপাড়ে আনন্দ মিছিল করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ। ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের নেতৃত্বে মিছিলটি বিকাল চারটা ধোলাইপাড় থেকে শুরু হয়ে যাত্রাবাড়ী হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার ধোলাইপাড় এলাকায় এসে শেষ হয়। মিছিলে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক নেতাকর্মী ও স্থানীয় মানুষ অংশ নেন।
আনন্দ মিছিলে নানা রংঙের ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড শোভা পেয়েছে। আর নেতা-কর্মীদের মুখে ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা জানিয়ে স্লোগান।
আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে কামরুল হাসান রিপন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে আজ প্রাপ্তির আনন্দ, আমরাও পারি সেটা মাথা উঁচু করে প্রমাণ করার আনন্দ, আমরা বীরের জাতি সেটাই আরেকবার জানানোর আনন্দ।
কামরুল হাসান বলেন, এই আনন্দ, উৎসবের যিনি কারিগর এবং আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি না থাকলে পদ্মা সেতু হতো না। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ার পরও যিনি নিজস্ব অর্থায়নে সেতু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেই সেটি সম্ভব হয়েছে।
আনন্দ মিছিলে অন্যদের মধ্যে ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ডেমরা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা সিফাত সাদেকিন চপল, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আবুল, ডেমরা থানা তাঁতী লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম সজীবসহ যাত্রাবাড়ী-ডেমরা থানার অন্তর্গত আওয়ামী লীগ-সেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডও থানার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
একই সময়ে আনন্দ মিছিল করেছে ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগ। এতে নেতৃত্ব দেন ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু ও সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হোসেন। এছাড়াও মিছিলে অংশ নেন থানা-ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।
মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা যা বলেন, তা করে দেখান। আজকে আবারও দেশবাসীর কাছে এটা প্রমাণিত হয়েছে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আনন্দ মিছিল করেছে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট৷ বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে সমাবেশ ও র্যালিটি শুরু হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সহসভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, চিত্রনায়ক শাকিল খান, সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, দফতর সম্পাদক জয়দেব রায়, কন্ঠশিল্পী করিম খান, মনিরুজ্জামান অপূর্ব, নৃত্যশিল্পী বাদশা মিন্টু এবং নাট্য ও চলচ্চিত্র শিল্পী সুজনসহ আরও অনেকে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল করেছে ৬৬নং ওয়ার্ড, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। শুক্রবার বিকালে ডগাইর বাজার থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি বের হয়ে বড়ভাঙ্গা চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন ৬৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. রাসেল ভূঁইয়া। অন্যদের মধ্যে ৬৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি কবির আলম, আলমগীর সাউথ, সিদ্দিকুর রহমান ও আব্দুল সাত্তার মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ মিয়া ও আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুন ভূঁইয়া ও হুমায়ু-উর রশীদ রাজন, মেহেদী হাসান মুন্না প্রমূখ।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ‘পদ্মা সেতুর বিজয়গাঁথা ইতিহাসের বিস্ময়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাজধানীর গুলিস্তান থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত আনন্দ র্যালি করেছে ঢাকাস্থ শরীয়তপুর সমিতি।
আনন্দ র্যালিতে ঢাকাস্থ শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্য ও নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এতে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর সমিতি, ঢাকার সভাপতি আনিস উদ্দিন মিঞা। র্যালি পরিচালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বাসার মিয়া।
পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর মতো একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান বক্তারা।
কারই/টিএ/ডিএইচডি/এমআর