images

জাতীয়

জুলাই শহীদদের স্মরণে মাদরাসা-কারিগরি শিক্ষার্থীদের ভিন্নধর্মী আয়োজন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৫১ এএম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ‘জুলাই ২৪ পুনর্জাগরণ’ উদযাপন করেছে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে রাজধানীর সায়েদাবাদ সংলগ্ন গোলাপবাগ মাঠে এই আয়োজন হয়। মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে পালন উপলক্ষে এই আয়োজন ছিল।

অনুষ্ঠানে দেখানো হয় একটি প্রামাণ্যচিত্র। সেখানে তুলে ধরা হয় জুলাই আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার চিত্র, শহীদদের আত্মত্যাগ এবং সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা।

দেয়ালে আঁকা বিভিন্ন গ্রাফিতির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় শেখ হাসিনার শাসনামলে দমন-পীড়নের নানা চিত্র। এসব গ্রাফিতিতে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন ও তরুণদের প্রত্যয় তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তাদের ত্যাগ জাতি কখনো ভুলবে না। তিনি বলেন, প্রামাণ্যচিত্রে যেসব দৃশ্য দেখা গেছে, তা ভোলার নয়।

তিনি আরও বলেন, দেয়ালে প্রতিদিন যেসব লেখা দেখি, তাতে স্পষ্ট হয় তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যয়। এসব আমাদের মনে করিয়ে দেয় পূর্ববর্তী সময়ের দমন-পীড়নের কথা।

তিনি বলেন, এক সময় দেশে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে নিরীহ মানুষের ওপর দমন চালানো হয়েছে। তখন মনে হয়েছিল আমরা আর স্বাধীনভাবে চলতে পারব না। কিন্তু এই গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে নতুন পথ খুলে দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগের শাসনামলে দাড়ি-টুপি দেখলেই আলেমদের ধরে নিয়ে যাওয়া হতো। গুম, খুন, নিপীড়নের শিকার হতেন আলেমরা।

তিনি বলেন, চব্বিশের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাদরাসার ছাত্র ও আলেমরা যেভাবে আত্মত্যাগ করেছেন, তা ভোলার নয়। তিনি আরও বলেন, শুধু ছাত্র বা আলেম নয়, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ, কৃষক, শ্রমিক— সবাই রাস্তায় নেমেছিলেন। তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধেই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছিল।

তিনি জানান, যাত্রাবাড়ী ছিল গণঅভ্যুত্থানের একটি প্রধান কেন্দ্র।

অনুষ্ঠানের শেষে হয় ইসলামিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা তাতে হামদ, নাত ও দেশের গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান চলে গভীর রাত পর্যন্ত।

বিইউ/এইউ