images

জাতীয়

আর কোনো ফ্যাসিস্ট দেখতে চাই না, মুগদা মেডিকেলে আলোচনা সভায় বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৬ পিএম

‘আমরা আর কোনো ফ্যাসিস্ট দেখতে চাই না। আবারও যেকোনো স্বৈরাচার রুখে দিতে রাজপথে নামবে ছাত্র-জনতা। বিপ্লবে ব্যক্তিগত অর্জন না থাকলেও কোনো আফসোস নেই৷ স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে, এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন।’

সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ ২০২৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।  

বক্তারা বলেন, জাতি বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত থাকায় শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন স্বৈরতন্ত্র চালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। একতাবদ্ধ হওয়ার পরই শেখ হাসিনাকে বিদায় করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ স্বৈরাচার হলে তিনিও পালাতে বাধ্য হবেন। 

চিকিৎসকরা বলেন, র্ব্তমানে গত জুলাইয়ের ঐক্য নানা স্বার্থের কারণে বিনষ্ট হয়েছে। এই সুযোগে প্রতিবিপ্লব হতে পারে—আশঙ্কা মাথায় রেখে সবারই ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত।

হাসিনার আমলে কথায় কথায় সাধারণ মানুষকে রাজাকার ট্যাগ দেওয়া হতো উল্লেখ করে তারা বলেন, হাসিনা দেশকে নরক বানিয়ে রেখেছিলেন। এ দেশে তার মতো ফ্যাসিস্টের জন্ম আর যেন না হয় সেজন্য সবাইকে জুলাই চেতনা বুকে ধারণ করার আহ্বান জানান তারা।

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ ডা. শরীফুল ইসলাম, মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি ডা. মাহমুদ আলাম তারেক।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কলেজ শাখার নেতারা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে দেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক পত্রিকা মেডিভয়েস নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। এর আগে সকালে একটি র‌্যালি বের করা হয়। পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাসে পালিত হয় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি।

এসএইচ/এআর