images

জাতীয়

রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের আর্থিক লেনদেন স্পষ্ট নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ জুন ২০২২, ০২:৩০ এএম

বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেছেন, চলমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের আর্থিক লেনদেন ও ট্রানজেকশন কীভাবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় হবে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের অর্থ কীভাবে ট্রানজেকশন হবে সেটা নিয়েও সংশয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ‘ল’ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) সেন্টারে এক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। 

হুমায়ুন কবির বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে পুরো পৃথিবী ইতোমধ্যে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের করা গণতন্ত্র সম্মেলনে বেশকিছু দেশ ডাক পেলেও পায়নি বাংলাদেশ। প্রশ্ন আসতে পারে- বাংলাদেশকে চীন-রাশিয়ার ব্র্যাকেটে আবদ্ধ করা হলো কিনা।  

সেমিনারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ-রাশিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও পরীক্ষিত। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে রাশিয়া বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতে গেলে এনার্জির চাহিদা বাড়বে। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিলো, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে যাবে। সেখানে রাশিয়া সহযোগিতা করছে, যেটার কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। রাশিয়ার একটি গ্যাস কোম্পানি উৎপাদনে অবদান রাখছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, তথ্য প্রযুক্তি, সংস্কৃতি এবং কৃষি ক্ষেত্রেও রাশিয়া অবদান রাখছে।

অনুষ্ঠানে রাশিয়া দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন একাতেরিনা সেমেনোভা বলেন, গত বছর বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে তিন বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। বর্তমান ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও সাপ্লাই চেইন ও অর্থ স্থানান্তরে কাজ করছে রাশিয়া। যেন এটি ভালোভাবে করা যায়, সেজন্য আমরা নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের যে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, সেখানে অবদান আছে রাশিয়ার। আমরা রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ ছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পে অবদান রাখছি।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা রোজানা রশিদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গবেষণা বিভাগের মহাপরিচালক নওরীন আহসান প্রমুখ।

ডিএইচডি/এইউ