নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম
এক বছরের ব্যবধানে আবারও ফিরে এলো ৫ আগস্ট। গণঅভ্যুত্থান ক্যালেন্ডারে দিনটি পরিচিত ‘ছত্রিশ জুলাই’ নামে। এই দিন ঘোষিত হতে যাচ্ছে জাতির বহু প্রতীক্ষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। এছাড়া দিনভর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে থাকবে নানা আয়োজন, আর বিকেলের দিকে নাগরিকদের সামনে উন্মোচন করা হবে এই ঐতিহাসিক ‘ঘোষণাপত্র’।
রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক বার্তায় এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। বার্তায় বলা হয়, ছত্রিশ জুলাই- গত বছর এই দিনে পৃথিবী দেখেছিল এক অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান। ফ্যাসিস্ট শাসনের পতন ঘটেছিল এই দিনে। বহু শহীদের রক্ত আর অকুতোভয় যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ এক হয়েছিল। পথে পথে ছিল উল্লাসমুখর জনতার ঢল। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতায় মুখর ছিল দেশবাসী।
দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে বার্তায় আরও বলা হয়, এই দিনটি আমাদের ইতিহাস, আমাদের গৌরব। ৫ আগস্ট মানিক মিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এই আয়োজনে অংশ নিতে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে পরিবার-পরিজনসহ উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিকেলের মূল অনুষ্ঠানেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। এই ঘোষণাকে ঘিরে রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল ও প্রতীক্ষা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু একটি দলিল নয় বরং দেশের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনার চাবিকাঠি হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।
এদিনের কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীজুড়ে বাড়ছে প্রস্তুতি। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়েও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ চলছে।
গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের এই দিনে সংঘটিত দেশজুড়ে রাজনৈতিক দৃশ্যপট বদলে যায়। ইতিহাসের পৃষ্ঠায় যুক্ত হয় একটি নতুন অধ্যায়, আর ‘ছত্রিশ জুলাই’ হয়ে ওঠে স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন।
এবারের আয়োজনে এই স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি আগামী দিনের জন্য একটি দৃঢ় বার্তা দিতেই ঘোষণা করা হবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। অনুষ্ঠানকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশের নানা প্রান্তে ইতোমধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। জনগণের অংশগ্রহণে দিনটি হয়ে উঠতে যাচ্ছে ইতিহাসের আরেকটি গর্বিত সাক্ষ্য।
এমআই/এফএ