images

জাতীয়

ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তার ছদ্মবেশে প্রতারণা, গ্রেফতার ২

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

৩০ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম

ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তা সেজে অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন। 

তিনি জানান, সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ এলাকা থেকে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন— তানভির হোসেন (৪২) এবং তৌহিদুজ্জামান তুহিন (৩১)।

সিআইডি জানিয়েছে, তানভীর হোসেন দীর্ঘদিন একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ কাঠামো, তথ্য ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করেন। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি একটি প্রতারক চক্র গড়ে তোলে এবং সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে প্রতারণার কাজে যুক্ত হন। 

এই চক্রের সদস্যরা নিজেদের কখনো ‘হেড অব মর্টগেজ অ্যান্ড লোন’, কখনো ‘কমার্শিয়াল ম্যানেজার’ কিংবা ‘ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি)’ পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। এরপর ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে বড় অঙ্কের বিমা রিকুইজিশন জমা দেয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশ্বাস স্থাপন করে। তারা মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করতো।

সিআইডি আরও জানিয়েছে, কাশেম (ছদ্মনাম) নামে এক ব্যক্তি এই প্রতারণার শিকার হয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পল্টন থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। মামলাটির তদন্তভার পায় সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনস ইউনিট। পরে তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একাধিক মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ভুয়া পরিচয়পত্র ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আরও একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ সিআইডির কাছে এসেছে, যারা একই ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

মামলাটি বর্তমানে সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনস ইউনিটে তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এমআইকে/এএইচ