জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:২১ পিএম
জুলাই শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্পে অনিয়ম নিয়ে গণমাধ্যমের খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবরে অসত্য তথ্য দেয়া হয়েছে এমন দাবি করে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, এমন সংবাদের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) দেয়া প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, আবাসন প্রকল্পে হরিলুট বলে যে প্রতিবেদন করা হয়েছে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ৯শ’ টাকার পিলারের দাম ধরা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা, ২৫ লাখ টাকার লিফট ৯২ লাখ টাকা, ১২ লাখ টাকার সাবস্টেশন ৬৩ লাখ টাকা, ৯৫ হাজার টাকার পানির পাম্প সাড়ে ৪ লাখ টাকা, ৪৫ গুণ বেশি ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর। প্রতিবেদনে উল্লিখিত এ সকল তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য যা জনমনে উদ্বেগ তৈরি করাসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে।
এতে বলা হয়েছে, প্রকাশিত প্রতিবেদনের শুরুতে পিলারের বিষয়ে যে ব্যয় এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, বাস্তবে প্রস্তাবিত প্রকল্পের ২১টি অঙ্গের মধ্যে কোথাও ‘পিলার’ নামে কোনো অঙ্গ নেই। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্পের ডিপিপি গণপূর্ত অধিদফতরের অনুমোদিত সর্বশেষ দর তফসিল অনুযায়ী প্রণয়ন করা হয়। আলোচ্য ডিপিপির ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় হয়নি।
বেশি দামে লিফট কেনার বিষয় নিয়ে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রকাশিত প্রতিবেদনে লিফট, সীমানা প্রাচীরসহ কিছু অঙ্গের ব্যয় সংক্রান্ত মনগড়া তথ্য প্রদান করা হলেও লিফটের ক্ষেত্রে কত স্টপেজ বা সীমানা প্রাচীর এর কাঠামো সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেয়া হয়নি। কিন্তু আলোচ্য ডিপিপি-তে (ক) সকল লিফট ২ মিটার/সেকেন্ড গতিসম্পন্ন বিবেচনা করে উন্নত মানের ব্র্যান্ড ও সর্বোচ্চ নিরাপদ ১৪ স্টপ যুক্ত ৬টি এবং ১০ স্টপের ১২টি ১০০০ কেজি বেড লিফট, ১৪ স্টপের ১২টি ৮০০ কেজি প্যাসেঞ্জার লিফট বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া (খ) ৬টি ১০০০ কেভিএ এবং ১২টি ২৫০ কেভিএ পূর্ণাঙ্গ সাব স্টেশন, প্রয়োজনীয় ক্যাবল, সরকারি বিদ্যুৎ সংযোগ ফিসহ (গ) ২০ হর্স পাওয়ারের ১২টি এবং ১০ হর্স পাওয়ারের ২৪টি সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প ও প্রয়োজনীয় আনুষাঙ্গিক আইটেম এর Specification সহ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত গণপূর্ত অধিদফতরের সর্বশেষ দর তফসিল মোতাবেক পণ্য হিসেবে ডিপিপি’র ক্রয়পরিকল্পনা প্রস্তাব করা হয়েছে।
সীমানা প্রাচীর নিয়ে বলা হয়েছে, প্রকল্পের প্রাথমিক নকশা অনুযায়ী ৯৬৩.১২ মিটার সীমানা প্রাচীর অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত গণপূর্ত অধিদফতরের দর তফসিল-২০২২ (সংশোধিত) এর এডিশনাল কস্ট চার্ট-১১ (iii) অনুযায়ী প্রতি মিটারের দর অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয় ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাস্তবায়নকালে ই-জিপিতে দরপত্রের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে সর্বনিম্ন দর অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারণ করা হবে। ফলে এ সংক্রান্ত পত্রিকায় উল্লিখিত তথ্যসমূহ ভিত্তিহীন।
এতে বলা হয়েছে, স্থাপত্য অধিদফতর কর্তৃক ইতোমধ্যে প্রকল্পটির নকশা অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পে নির্মিতব্য ফ্ল্যাট পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-২৪ এ প্রকৃত শহীদ পরিবারের অনুকূলে বরাদ্দের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
বিইউ/এফএ