images

জাতীয়

ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে প্রযুক্তি ও নীতিগত উদ্যোগের ওপর জোর সিআইপিআরবি’র

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম

ডুবে মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাসে প্রযুক্তিনির্ভর, প্রমাণভিত্তিক ও সম্প্রসারণযোগ্য কার্যক্রম গ্রহণের ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিশ্ব ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব পরামর্শ দেন।

সোমবার (২৮ জুলাই) সিআইপিআরবি কার্যালয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফায়েজ।

তিনি বলেন, সরকারি পর্যায়ে পরিচালিত ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ কর্মসূচিগুলোর কার্যকারিতা মূল্যায়ন জরুরি। পাশাপাশি এসব কর্মসূচিকে জাতীয় পর্যায়ে সম্প্রসারণ করতে হবে। পাঠ্যক্রমে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ বিষয়ক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সিআইপিআরবি’র সভাপতি অধ্যাপক মজহারুল হক। তিনি বলেন, ডুবে যাওয়া নিয়ে সমাজে এখনও প্রচলিত রয়েছে ভুল ধারণা। এই ধারা পরিবর্তনের জন্য আমাদের প্রয়োজন সচেতনতা, উদ্ভাবন ও টেকসই নেতৃত্ব।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ গবেষণা বিভাগ (IDPRD) এর পরিচালক ড. আমিনুর রহমান। তিনি ২০২৫ সালের থিম, সিআইপিআরবি’র অবদান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সেমিনারে ‘নিরাপদে ভাসা’ ও ‘SeaSafe’ প্রকল্পের মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়িত হয়েছে। মুক্ত আলোচনায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব করা হয়। যেগুলো হলো— ডুবে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসায় প্রটোকল তৈরি। নন-ফ্যাটাল কেস ব্যবস্থাপনায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে প্রস্তুত করা। শহর এলাকায় বিশেষ কর্মসূচি। ডুবে যাওয়া আঘাতের মাত্রা নির্ধারণে স্কেল তৈরি। সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা বাড়ানো।

অনুষ্ঠানে সিআইপিআরবি’র সকল স্তরের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন এবং একটি বাস্তবমুখী ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

বিইউ/এফএ