নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফজলে করিমের নামে ১২টি ব্যাংক হিসাবে ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
রোববার (১৩ জুলাই) দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
দুদকের মামলা সূত্রে জানা গেছে, অনুসন্ধানে ফজলে করিমের নামে ১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকার স্থাবর ও ১২ কোটি ১৩ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২৪ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের বিপরীতে তার কোনো দায়-দেনা বা ব্যাংক ঋণের তথ্য পাওয়া যায়নি।
দুদক জানিয়েছে, আয়কর নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ফজলে করিমের বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় রয়েছে ১৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ বৈধ আয়ের তুলনায় তার ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকার সম্পদ অতিরিক্ত। যা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
এছাড়া, ফজলে করিম ১২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার অস্বাভাবিক আর্থিক লেনদেন করেছেন। যার কোনো গ্রহণযোগ্য উৎস পাওয়া যায়নি। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এসব লেনদেনের মাধ্যমে দুর্নীতির অর্থ গোপনের চেষ্টা করেছেন তিনি।
দুদক জানিয়েছে, ফজলে করিম তার অবৈধ সম্পদ নিজ ভোগ দখলে রেখে এবং সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে।
এমআই/এফএ