নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ জুলাই ২০২৫, ০২:০১ এএম
মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বাহিনীটির পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, খুনিরা যে দলেরই হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে এক বার্তায় এ কথা জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে মূল অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মহিনকে হেফাজতে নেওয়া হয় এবং তার দেওয়া তথ্যে অপর অভিযুক্ত তারেক রহমান রবিনকে গ্রেফতার করা হয়।’
তালেবুর রহমান আরও জানান, ‘তদন্তে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে, যা অপরাপর জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে সহায়ক হচ্ছে।’
তবে ডিএমপি দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, সামাজিক মাধ্যমে পুলিশের তৎপরতা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এটি মোটেই কাম্য নয়।
ডিএমপি সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচারে যুক্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, মামলার সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। খুনিরা যে দলেরই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রত্যেক অপরাধীকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
গত বুধবার বিকেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
হত্যার এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। এরমধ্যে রবিন নামে এক আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। টিটন গাজী নামে আরেক আসামি পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
এএইচ