মো. আব্দুস সবুর (লোটাস)
১১ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম
রাজধানীর মিরপুরে ব্যস্ত দুটি রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। সড়কের অর্ধেকটা দখল করে চলছে নির্মাণ ও সংস্কার কাজ। এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা। বেআইনি এ কর্মকাণ্ড দেখার যেন কেউ নেই। নিয়মনীতিকে থোড়াই কেয়ার করে এসব চলতে থাকায় পথচারী ও যানবাহনে চলাচলকারীদের ভোগান্তি চরমে।
এলাকাবাসী জানায়, ব্যস্ত সড়কের ওপরে যত্রতত্র ইট-বালুসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একটু রোদ সঙ্গে হালকা বাতাস হলেই নির্মাণ সামগ্রী থেকে ধুলাবালি উড়ে এসে শরীর এবং চোখ-মুখ ভরে যায়। বৃষ্টি হলে আবার সবকিছু রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে কাদার সৃষ্টি হচ্ছে। সব মিলিয়ে রাস্তায় হাঁটাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে মিরপুর-১১ মেট্রো স্টেশনের পাশের নান্নু মার্কেট রোডে গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ত এই সড়কের বাম পাশে ইট, বালি, পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখেছেন সিটি করপোরেশনের কাজে নিয়োজিত একজন ঠিকাদার। সেখানকার বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থার ড্রেনের কাজ করছেন তিনি। কিন্তু সব নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে রাস্তায়।
শুধু মিরপুর-১১ নয়, মিরপুর-১২ সেকশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একই ধরনের কর্মকাণ্ডে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। এছাড়া মিরপুরের ভেতরে বিভিন্ন রাস্তার সংস্কার কাজ অর্ধেক সম্পন্ন থাকার কারণেও এলাকাবাসী এবং ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের ভোগান্তির অন্ত নেই।
মিরপুর-১১ এলাকার বাসিন্দা আজমল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমি নান্নু মার্কেটের রাস্তার শেষ প্রান্তে থাকি। কিছুদিন হলো এই রাস্তার বড় একটা অংশ জুড়ে ইট আর বালিসহ নানা নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে। এতে প্রতিদিনই অসহ্য রকমের যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। চলাচলের ক্ষেত্রে পোহাতে হচ্ছে নানা ভোগান্তি।’

স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এভাবে রাস্তায় জিনিসপত্র ফেলে রেখে কাজ করলে পুরো এলাকাবাসীরই ভোগান্তি হয়। এসব বিষয় সিটি করপোরেশন থেকে ভালোভাবে তদারকি করা দরকার। কিন্তু করপোরেশন তেমন কিছুই করছে না। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের।’
একই এলাকার বাসিন্দা ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের কাজের কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলোর কোনো কিছুই তারা মানছে না। রাস্তায় এভাবে ইট-বালি ফেলে রাখায় যে কী পরিমাণ ভোগান্তি হচ্ছে, সেটা উনারা জানেন না। যাহোক, সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে কাজ করলে সবার জন্যই ভালো।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারের এক প্রতিনিধি ঢাকা মেইলকে বলেন, সিটি করপোরেশনের কাজ আমরা কোথায় গিয়ে করব? রাস্তার কাজ তো রাস্তাতেই করতে হবে। অনেক ঠিকাদার রাস্তা বন্ধ করে কাজ করেন। সেদিক থেকে তো আমরা রাস্তায় চলাচলের জায়গা রেখে কাজ করছি।’
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সংস্কার ও নির্মাণ কাজ নিয়ম মেনে করতে হবে। আমরা এসব জায়গায় দ্রুত সিটি করপোরেশনের লোক পাঠাবো। তারপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
এএসএল/এএইচ