images

জাতীয়

সীমানার খসড়া ও সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশ আগামী সপ্তাহে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম

আগামী সপ্তাহের মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানার খসড়া ও সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) নির্বাচন ভবনে কমিশনের ৮ম সভা শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। অন্য চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ইসির সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন, হলফনামা, ইসি সচিবালয় আইন, পোস্টাল ব্যালট, ইভিএম, দল নিবন্ধনের অগ্রগতি, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সীমানা নির্ধারণসহ সার্বিক ‍বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আমলে নিয়ে তা বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে ইসি।

বৃহস্পতিবারের সভায় আরপিও সংশোধন প্রস্তাবনা আলোচ্যসূচিতে থাকলেও তা শুধুমাত্র উপস্থাপন করা হয়, কিন্তু বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। পরবর্তী বৈঠকে শুধু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধন অধ্যাদেশ নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হবে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
 
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, এবার প্রায় ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬০২ জন বাদ পড়া ভোটার আমরা পেয়েছি, যারা নতুন করে নিবন্ধন করেছে। মৃত ভোটার পেয়েছি ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জন। সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আশা করি, আগামী সপ্তাহে সম্পূরক খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর দাবি, আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগস্টের মধ্যে হালনাগাদ চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হবে।

সীমানা চূড়ান্ত পযায়ে, আগামী সপ্তাহে খসড়া প্রকাশ
 
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২২১টি আসনের বিষয়ে কোনো আবেদনই হয়নি। আশা করি, আগামী সপ্তাহে পুরোটা প্রকাশ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় আসন সংখ্যা খুব বেশি কমবে না। জনসংখ্যার ভারসাম্য আনার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যার সমতা এনে আসন বিন্যাস করা হবে।

ইসি সার্ভিস চালু করার প্রস্তাব ও অন্যান্য

এই নির্বাচন কমিশনার জানান, ইসি সচিবালয় আইন সংশোধন অধ্যাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়োগের জন্য  নির্বাচন কমিশন সার্ভিস নামে একটি সার্ভিস হবে। সংস্কার কমিশনও এই ধরনের প্রস্তাব করেছে। এই সার্ভিস চালু না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান বিধিতেই চলবে। এছাড়া ১৯৯১ সালে নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইনেও ছোট ছোট সংশোধন প্রস্তাব করা হয়েছে। ইসি কর্মকর্তাদের আর্থিক ক্ষমতা পুনরায় অর্পনের বিষয়েও কিছু সংশোধন প্রস্তাব আনা হয়েছে।

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের অগ্রগতি

নতুন দল নিবন্ধন আবেদন যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে যেসব আবেদন সঠিক রয়েছে তা মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই চলছে আর যাদের আবেদনে সামান্য ত্রুটি রয়েছে তাদের তথ্য পূরণে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এবার ১৪৪টি দল নিবন্ধন চেয়ে ১৪৭টি আবেদন করেছে।

আইনজীবি প্যানেল রিভাইজ

এই নির্বাচন কমিশনার জানান, ইসির আইনজীবি প্যানেল ‘রিভাইজ’ করার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। এই বিষয়েও আগামীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সব নির্বাচনে ইভিএম বাদ 

নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য ও সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ইভিএমের বিষয়টি নেই। আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ইভিএম সামনে কোনো নির্বাচনে ব্যবহার হবে না।

এমএইচএইচ/এফএ