নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বেড়েছে রিকশাচালক, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষদের। বাদলা দিনে রাস্তায় মানুষের চলাফেরা কম হওয়ায় রিকশা চালকদের আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এছাড়া টানা বৃষ্টির প্রভাবে জনজীবন স্থবির হওয়ার প্রভাব সরাসরি পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের ওপর।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। বৃষ্টির পরিমাণ কোথাও কোথাও ৪৪ মিলিমিটার থেকে শুরু করে ৮৮ মিলিমিটারেরও বেশি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টির ফলে ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে।
রাজধানীর খেটে খাওয়া মানুষরা জানান, তাদের আয় নির্ভর করে অন্য মানুষদের চলাফেরার ওপর। এদিকে বৃষ্টি নামার ফলে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তরা সেভাবে কোনো কিছু করেন না। যেটির প্রভাব সরাসরি নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর পড়ে।
রাজধানীর বাড্ডা নতুন বাজার এলাকার রিকশাচালক মাজেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বৃষ্টি শুরু হলেই আমাদের আয় কমে যায় অর্ধেক। কারণ রাস্তায় মানুষের চলাফেরাই থাকে না। কিছু মানুষ রিকশায় ওঠার পর ভাড়া কিছুটা বেশি দিলেও স্বাভাবিক দিনের মতো আয় হয় না।
তিনি আরও বলেন, একদিন রিকশা চালালে পরের দিন উঠে জ্বর। এমনিতে বৃষ্টিতে ভাড়া কম হয় তারপর আবার অসুস্থ হলে আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমরা বৃষ্টি চাই না। রোদ হোক, তাহলে ভাড়া ঠিকমতো পাওয়া যায়।
মিরপুর-১১ এলাকার বাসিন্দা ও দিনমজুর আসলাম হোসেন বলেন, সারাদিন বৃষ্টি হলে মহাজন কাজ বন্ধ রাখে। কারণ বৃষ্টির মধ্যে বেশি কাজ করা যায় না। আর এতে আমাদের পেটে লাথি পড়ে। কাজ না থাকলে আমাদের আয় হয় না।
রাজধানীতে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে রিকশা চালান সামাদ মিয়া। তিনি বলেন, দুই সময়ে রিকশা চালানো খুব কঠিন হয়। তার মধ্যে একটা সময় হলো বর্ষাকাল। এসময় রাস্তায় মানুষের চলাফেরা খুবই কম থাকে। আর বৃষ্টিতে ভিজে বেশি সময় রিকশা চালানোও যায় না।
তিনি আরও বলেন, পেটের দায়ে আর জমার টাকার জন্য বৃষ্টিতে ভিজে বেশি সময় রিকশা চালালে পরের দিন বের হওয়া যায় না। জ্বর-সর্দিসহ নানা অসুস্থতায় পড়তে হয়। তাই এই বর্ষাকালে অনেকদিন খুব কষ্টে কাটে রিকশাচালকদের।
এএসএল/এফএ