images

জাতীয়

পুলিশের লাঠিপেটায় আহত ২০-৩০ বিডিআর সদস্য, আটক ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম

পুলিশের জলকামান ও লাঠিপেটায় চাকরিতে পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত ২০-৩০ জন বিডিআর সদস্য আহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এসময় ১২ জন বিডিআর সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।

সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন আন্দোলনকারী বিডিআর সদস্যরা।

বিডিআর সদস্যরা বলেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এবং লাঠিপেটা করে। এতে অন্তত ২০-৩০ জন বিডিআর সদস্য আহত হয়েছেন এবং রমনা থানায় প্রায় ১২ জন আটক রয়েছেন। আটককৃতদের মধ্যে একজন নারী বিডিআর সদস্যের ছোট সন্তান রয়েছে।

তারা বলেন, শাহবাগে আমরা প্রায় ১৬ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। আজকে যমুনা অভিমুখে যাওয়ার পথে কাকরাইলে আমাদের লক্ষ্য করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। আমাদের সঙ্গে এ আচরণ মেনে নেওয়ার মতো নয়। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। আমরা যতবার রাজপথে আসি, ততবার আমাদের সঙ্গে বিভ্রান্ত করা হয়।

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যের ছেলে মারুফ সরকার বলেন, পুলিশ তাদের পদযাত্রায় জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। তাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন ও কাকরাইল এলাকায় অবস্থান করছেন।

BDR2
বিডিআর সদস্যদের ওপর পুলিশি অ্যাকশন। ছবি: ঢাকা মেইল

জানা গেছে, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। তারা যমুনা ঘেরাও করবেন বলে জানান। দুপুর ১২টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু আহ্বানে তারা সাড়া না দিলে সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। তখন সাউন্ড নিক্ষেপ করা হয়। এতে পুলিশসহ আন্দোলনকারীরা আহত হন। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের আটকও করাা হয়। পরে পুলিশ ধীরে ধীরে আন্দোলনকারীদের মৎস্য ভবনের দিকে নিয়ে যায়।

এদিকে, আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার আগে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি যমুনায় পাঠানোর আহ্বান জানান। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের কাকরাইল মসজিদ থেকে সরে যেতে ১০ মিনিটের আলটিমেটাম দেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাতে সাড়া না দিয়ে একই জায়গায় আবস্থানের ঘোষণা দিলে পুলিশ অ্যাকশনে যায়।

তাদের তিন দফা দাবি হলো- চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহাল, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের বিভিন্ন ধারা বাতিল এবং বিডিআর নাম পুনর্বহাল ও কারাগারে বন্দি থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তি।

এসএইচ/জেবি