নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ জুন ২০২২, ০৯:৩৮ পিএম
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মতে, বন্যার প্রকোপ আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত গড়াতে পারে।
সোমবার (২০ জুন) রাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো তাঁর সংসদ ভবন কার্যালয়ে সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এই আশঙ্কার কথা জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবার বন্যার প্রকোপ একটু বেশি এবং তা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে, আমাদের এই প্রকৃতির সাথেই বাঁচতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যা দুর্গত মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকার সবকিছুর ব্যবস্থা করছে।’
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস এবং জাপান চায় বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এ লক্ষ্যে তার সরকার ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে।
এর আগে দুপুরে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সিলেটসহ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, এতে সন্তুষ্ট না হয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কা করে তা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানিয়ে বলেন, নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে আমরা কেউ যেন সন্তুষ্ট না থাকি। পানি এসে দ্রুত চলে গেছে বলে এটা মনে করার কারণ নেই পানি আর আসবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস যেমন দেখছি, তাতে একেবারে অসম্ভব কিছু না যে, পরে আবার এরকম বন্যা হতে পারে। আসামে ম্যাসিভ বন্যা হয়েছে, কিন্তু আসামের পানিটা ওইভাবে আসেনি, যেভাবে মেঘালয়ের পানিটা আসছে।
‘সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকদের বলে দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকদেরও বলা হয়েছে, আসামের পানিটা এলে তারা যেন রেডি থাকেন’- যোগ করেন তিনি।
বন্যাকবলিতদের পাশে দাঁড়াতে ও তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে প্রধানমন্ত্রী সিলেট সফরে যাচ্ছেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
জেবি