images

জাতীয়

ছুটি শেষে খুলেছে দোকানপাট, চেনা রূপে ফিরছে নিউমার্কেট

সাখাওয়াত হোসাইন

১৫ জুন ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে খুলেছে রাজধানীর নিউমার্কেটের বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানপাট। সেখানে ক্রেতাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। ঈদের আগের সেই চেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে নিউমার্কেট।

রোববার (১৫ জুন) রাজধানীর নিউমার্কেটের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন ক্রেতারা। কিনছেন নিজের পছন্দের জিনিস। প্রতিটি মার্কেটই সাজানো রয়েছে। কেউ করছেন দামাদামি, কেউবা পছন্দের জিনিস কিনে নিয়ে চলে যাচ্ছেন।

নিউমার্কেটের নুর জাহান মার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট, গাউসিয়া মার্কেটসহ প্রায় সব দোকানই খুলেছে এবং সব মার্কেটেই ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য হারে উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

ঈদ এলে কয়েক দিনের রাজধানী ছেড়ে গ্রামে চলে যান অনেক মানুষ। ঈদের দিন থেকে দোকানপাট থাকে বন্ধ, সঙ্গে কেনাকাটাও। দেরিতে হলেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে যান দোকানগুলোর মালিক এবং কর্মচারীরাও। 

N_Lead

এবার ঈদে টানা ১০ দিন ছুটি ছিল। সেই ছুটি কাটিয়ে গ্রাম থেকে এরইমধ্যে ঢাকায় ফিরেছে অধিকাংশ মানুষ। ফলে ১০ জুন থেকে খুলতে শুরু করে নিউমার্কেটের বিভিন্ন দোকান। এরমধ্যে পর্যায়ক্রমে সব দোকানপাট খুলেছে।

জানতে চাইলে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘কোবরানির ঈদের গত ১১ জুন দোকান খোলা হয়েছে। দুই-তিন দিন ক্রেতা কম ছিল। এখন আবার আগের মতো ক্রেতা পাচ্ছি। তারা পছন্দ অনুযায়ী পোশাক কিনছেন। আমরাও ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করছি। যাতে ক্রেতারা পণ্যটি কিনতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন গরমের মৌসুম চলছে। গরমকালের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।’

আরেক ব্যবসায়ী মাজিদুল হাসান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে নিরাশ হতে হচ্ছে না। অন্যান্য বছরের তুলনায় ঈদের ছুটি শেষে ভালোই ক্রেতা পাচ্ছি। ক্রেতারা আসছেন। ক্রেতারা এলে ভালো লাগে, ব্যবসাও জমে ওঠে। লাভ কমবেশি যাই হোক, বেচাকেনা হচ্ছে।’

N

তিনি আরও বলেন, ‘ঈদের পর মার্কেট জমে উঠতে কিছুদিন সময় লাগে। এক-দুই দিন গেলে আরও বেশি ক্রেতা পাওয়া যাবে এবং ভিড় বাড়বে। আগের সেই চেনা রূপ পুরোপুরি ফিরে পাবো।’

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হালকা-পাতলা ও গরমে আরামদায়ক পোশাকের দিকে বেশি নজর ক্রেতাদের৷ মার্কেটগুলোতে থ্রি-পিস ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷ শাড়ি ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে শুরু করে আট হাজার টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। 

তবে এগুলো মধ্যম মানের দাম বলছেন বিক্রেতারা। এই দামের পোশাকের চাহিদাই বেশি। এর চেয়ে বেশি দামের পোশাকও বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। 

এছাড়া ছেলেদের টি-শার্ট দেড়শ থেকে শুরু করে ৪০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। জিন্স প্যান্ট ৫০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে৷ ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে শার্ট। মার্কেটের বাইরে ফুটপাতেও কেনাবেচা হচ্ছে। সেখানে দাম কম। কারণ, ফুটপাতে নেই দোকান ভাড়া।

N3

রাজধানীর আজিমপুর থেকে নিউমার্কেট নিজের ছোট কন্যার জন্য পোশাক কিনতে এসেছেন আকলিমা খাতুন। নুর জাহান মার্কেটে তার সঙ্গে কথা হয় ঢাকা মেইলের। 

তিনি বলেন, ‘ছোট মেয়ের জন্য গরমকালের পোশাক কিনতে এসেছি। হালকা ও ঢিলেঢালা জামা ও পায়জামা কিনবো। যাতে গরমে আরামে থাকতে পারে। চার বছরের বাচ্চা গরম লাগলে অস্বস্তিতে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, গত বছরের গরমের জামা ও পায়জামা দিয়ে এখনো চলছে। ঈদেও কেনাকাটা তেমন একটা হয়নি। তাই এখন কেনাকাটা জরুরি হয়ে পড়ছে, এজন্য নিউমার্কেট এসেছি।’

ঢাকার ধানমন্ডি থেকে পোশাক কিনতে এসেছেন নজরুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘গরমকাল চলছে। গরমের কিছু পোশাক কেনা প্রয়োজন। টি-শার্ট, গেঞ্জি আর ট্রাউজার কিনবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চলে যায়, তখন খুব গরম লাগে। পাতলা আর ঢিলেঢালা পোশাক পরে থাকলে আরাম লাগবে। এ ধরনের পোশাক শরীরের জন্যও ভালো।’

এসএইচ/এএইচ