জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৪ জুন ২০২৫, ০৯:৩২ পিএম
রাজধানীর উত্তরায় র্যাব পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান নগদের চারজন এজেন্টের কাছ থেকে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন।
মামলার পর ঘটনাস্থলের সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামিদের খোঁজে নেমে পড়েছে পুলিশ।
বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম
তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। ঘটনার পর ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ছিনতাইকারীরা কোথায থেকে এসেছিল এবং কোন দিকে গিয়েছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।’
এর আগে শনিবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরা-১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নং রোডে নগদের চার এজেন্টের কাছ থেকে ফিল্মি স্টাইলে ১ কোটি ৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেয় র্যাবের আদলে পোশাক পরিহিত ছিনতাইকারীরা।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ জানায়, র্যাবের পোশাক পরিহিত ও পরিচয়ে কালো মাইক্রোবাসে করে এসে আকস্মিকভাবে দুটি মোটরসাইকেলের চারজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। যারা নগদ এজেন্টের নিকটস্থ বাসা থেকে টাকাগুলো বহন করে ডিস্ট্রিবিউটর কার্যালয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
তাদের মধ্যে তিনজনকে ওই মোটা অঙ্কের টাকাসহ জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেওয়া হয়। ছিনতাইকারীরা টাকাগুলো রেখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করাদের উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম সে সময় জানান, ভুক্তভোগীদের একজন নগদের স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর আব্দুল খালেক নয়ন। তার বাসা উত্তরা-১৩ সেক্টরের ১২ নম্বর রোডে। সেই রোডের ৩৭ নম্বর বাসার তিন তলায় বসবাস করেন তিনি। সেখান থেকে হেঁটে পাঁচ মিনিট দূরত্বেই নগদের ডিস্ট্রিবউটিং অফিস। নয়নের বাসায় টাকাগুলো ছিল। তিনিসহ বাকি তিনজন টাকাগুলো নিয়ে নগদের অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে এ ঘটনা ঘটে।
ডিসি মহিদুল আরও জানান, ঘটনার প্রত্যক্ষ চারজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ছিনতাই হওয়া টাকার পরিমাণ সম্পর্কে তারা জানান, দুটি মোটরসাইকেলে করে টাকা আনা হচ্ছিল। এক মোটরসাইকেলে ছিল ১ কোটি ৮ লাখ ৪২ হাজার। ওমর হোসেন জানিয়েছেন, তিনি যে ব্যাগ নিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন, তাতে এক লাখের কিছু বেশি টাকা ছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে জিম্মি দশা থেকে মুক্ত তিনজন জানান, তাদের চড় থাপ্পর মারা হয়েছে। কিন্তু কেন নগদের ডিস্ট্রিবিউটর নয়নের বাসায় টাকাগুলো রাখা হয়েছিল? বন্ধের দিনে এতো সকালে এতোগুলা টাকা কেন বাসা থেকে অফিসে নেওয়া হচ্ছিল, তার তদন্ত করছে পুলিশ।
এমআইকে/এএইচ