নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ মে ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
কুষ্টিয়া থেকে অপরাধ জগতের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। এরপর তাদেরকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর সোনার বাংলা সড়ক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তিন ঘণ্টার এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ২টি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, সেনাবাহিনীর চৌকস সদস্যদের একটি দল বাসাটি ঘিরে রাখে।
গ্রেফতারকৃত চারজন হলেন— সুব্রত বাইন (৬০), আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ (৫৪), আরাফাত ও শরীফ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত দেড় মাস আগে কালিশংকরপুর সোনার বাংলা সড়ক এলাকার মৃত মীর মহিউদ্দিনের বাড়ির পেছনের একটি বাড়ি ভাড়া নেয় দুই যুবক। ওই বাসার নিচ তলায় তারা থাকতেন। হঠাৎ ভোররাতে বাড়িটিতে দেখতে পান সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে অভিযান চালাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পর দুজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর গাড়িতে তুলে নিয়ে যান তারা।
ওই মেসের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘সকাল ৮টার দিকে একটি কালো মাইক্রোবাস আসে। তখন সেনাসদস্যরা একজন দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে হাতকড়া পরিয়ে এবং অন্য এক যুবককে হাত বেঁধে গাড়িতে তোলেন। সেনা সদস্যদের একজন বলেন অভিযানে সুব্রত বাইনকে আটক করা হয়েছে।’
এদিকে, সেনাসদর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন আটক সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ৫টায়। ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে বনানী রেলক্রসিং ও রেডিসনের মাঝামাঝি ঢাকা সেনানিবাসে স্টাফ রোডের মেসেতে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ২৫ ডিসেম্বর যে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার ঘোষণা করেছিল, তাদের অন্যতম ছিলেন সুব্রত বাইন। তার নামে এখনও ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি রয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিতে তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। এই তালিকায় সুব্রত বাইনের সহযোগী মোল্লা মাসুদও ছিলেন।
১৯৯৭ সালের দিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, তানভিরুল ইসলাম জয়, টোকাই সাগর, টিক্কা, সেলিম, চঞ্চল ও মোল্লা মাসুদ মিলে গড়ে তোলে সেভেন স্টার গ্রুপ। ওই গ্রুপে কাজ করার কারণে মোল্লা মাসুদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সখ্য গড়ে ওঠে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের।
এমএইচটি