images

জাতীয়

‘বিআইডব্লিউটিসির সব নৌযান ধূমপানমুক্ত করা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ মে ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আওতাধীন ফেরিসহ সব নৌযান শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহ্।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিআইডব্লিউটিসির সভা কক্ষে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও বিআইডব্লিউটিসির যৌথ আয়োজনে ‘শতভাগ ধূমপানমুক্ত নৌপরিবহন নিশ্চিতকরণে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান বলেন, বিআইডব্লিউটিসি এর আওতাধীন ফেরিসহ সব নৌযান শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ফেরি লঞ্চ ছাড়ার আগে মাইকে ঘোষণা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে যে, লঞ্চ বা ফেরিতে ধূমপান করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সঙ্গে যৌথভাবে আমরা সব নৌযানে অ্যাওয়ার্নেস প্রোগ্রাম চালু করতে পারি। প্রত্যেকটি নৌযানে ধূমপানবিরোধী সাইনেজ লাগানো যায় কি না সে বিষয়ে বিডাব্লিউটিসি'র সংশ্লিষ্টদের ব্যাবস্থা নিতে অনুরোধ করছি। 

মো. সলিম উল্লাহ্ বলেন, নৌযানের সব কর্মীদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা যায় কি না সে বিষয়ে ভেবে দেখতে হবে, যাতে কেউ ধূমপানের করলে এর কূফল সম্পর্কে তাকে বোঝানো যায়। সব কিছু বাস্তবায়ন করতে একটি অ্যাকশন প্লান হাতে নিতে হবে দ্রুত।

মো. সলিম উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব বেলায়েত হোসেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মাশরুখ আহমেদ, বিআইডাব্লিউটিসি’র মহাব্যবস্থাপক (প্রশাশন) জেসমিন আরা বেগম, কারিগরি পরিচালক কাজী ওয়াসিফ আহমাদ, নৌপুলিশের হেলাল উদ্দিন এবং ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান।   

মূল প্রবন্ধে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম জানান, গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭ এর তথ্যমতে দেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে। এর মধ্যে ধূমপান করেন ১ কোটি ৯২ লাখ মানুষ এবং প্রায় ৪ কোটি মানুষ ধূমপান না করেও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। পরোক্ষ ধূমপানের এই হার ৪২.৭ শতাংশ। যার মধ্যে গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন ৪৪ শতাংশ। ফেরি ও যাত্রীবাহী জাহাজও এই গণপরিবহনের অন্তর্ভূক্ত যেখানে প্রতিনিয়ত মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, ফেরিতে যত্রতত্র ধূমপানের চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। যাত্রীরা ফেরির ক্যান্টিনে খেতে গিয়েও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সবাইকে রক্ষা করতে ফেরিসহ সব নৌযানকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

পাশাপাশি, বিআইডাব্লিউটিসি'র নৌযান ধূমপানমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান ও ধূমপানমুক্ত সাইনেজ লাগানো এবং বিআইডাব্লিউটিসি'র সব কার্যালয়কে শতভাগ ধূমপান ও স্মোকিং জোনমুক্ত রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিসি’র অন্যান্য ঊধ্বতন কর্মকর্তা, নৌপরিহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ, নৌ পুলিশের এবং বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।