জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১২ জুন ২০২২, ০৬:১৬ পিএম
জঙ্গিবাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আগের মতোই রয়ে গেছে, তবে আগের যে কৌশল ছিল তা বদলেছে, এখন ভিন্নভাবে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
সিটিটিসির সহযোগিতায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) আয়োজনে ক্র্যাব সদস্যদের জন্য এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান তিনি। রোববার দিনব্যাপী সিরডাপ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তিনি দাবি করেন, আমরা সব জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছি, অনেক কেস স্টাডি করেছি। আস্তানা যদি গুঁড়িয়ে দেওয়া না যেত তাহলে আরও বড় বড় ঘটনা ঘটতে পারত। এটা আমাদের সফলতা বাংলাদেশে সিটিটিসির অনবদ্য সফলতা। গ্লোবাল টেরোরিজম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩ থেকে ৪০-এ নেমেছে। এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর কিন্তু জঙ্গি হামলার মতো একটি ঘটনাও ঘটেনি। এর অবদান অবশ্যই সিটিটিসির, তথা পুলিশের।
সন্তানরা কে কী করছে তা দেখা অভিভাবকদের দায়িত্ব তিনি বলেন, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ আসলে কী, এর নেপথ্যের অনুঘটক কারা তাদের খুঁজে বের করে স্পষ্ট করার দায়িত্ব গণমাধ্যমের। হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় নিহত নিবরাস কীভাবে রেডিকালাইজড হলো। কোন প্রেক্ষাপটে কোন প্রক্রিয়ায় জঙ্গি হলো! সাংবাদিকদের পাশাপাশি জঙ্গিবাদ নিয়ে যারা বিশ্লেষণ করেন, তারাও এটা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে পারেন।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যারা রেডিকালাইজড হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে, তাদের অবস্থাটা কেমন হয়েছিল, একদিনেই তারা বদলে যায়নি। তারা দিনের পর দিন বদল এনেছে। রেডিকালাইজড হওয়া জঙ্গিদের পুরনো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন! কীভাবে তারা বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করত! বাসা থেকে বের হয়ে বা হিজরতে কারা অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, বের করুন। কী এমন স্বপ্ন তাদের দেখানো হয়েছিল, শুধু খবর প্রচারই নয়, গণমাধ্যমের দ্বৈত ভূমিকা নিতে হবে। যাতে করে জঙ্গিবাদ সমূলে নির্মূল করা যায়।
ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু। কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
এমআইকে/এইউ