images

জাতীয়

সীতাকুণ্ড ট্রাজেডি: আরও একজনের মৃত্যু, মোট ৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ জুন ২০২২, ০৪:৩৪ পিএম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ জনে।

রোববার (১১ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে নুরুল কাদের (২২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নুরুল কাদের ওই ডিপোতে কাজ করতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে। তার বাবার নাম এ কে এম ফাইজুর রহমান।

পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম নুরুল কাদেরের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, তার শরীরের প্রায় ৭০ ভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে রোববার ভোরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম মারা যান। তার বাড়ি যশোরের মনিরামপুরে। বাবার নাম আজগর গাজী। চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন তিনি।

সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিএম কনটেইনার ডিপোটিতে আগুন লাগে গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে। আগুন নেভাতে একে একে ছুটে যায় চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট। পরে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা থেকেও যোগ দেয় কয়েকটি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ২৫টি ইউনিউ আগুন নেভাতে নিরলস পরিশ্রম করে।

কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণে বাড়ে আগুনের ভয়াবহতা। আগুন ও বিস্ফোরণে প্রশাসন প্রথমে ৪৯ জন নিহতের তথ্য দিলেও পরে জানানো হয় এই সংখ্যাটা ৪১। তবে পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থল থেকে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও কয়েকজন মারা যান। এতে মৃতের সংখ্যা এখন ৪৮ জনের অবস্থান করছে।  

ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে এখনও বহু মানুষ দগ্ধ হয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৩ জন। দগ্ধদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জেবি