জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম
ঈদে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়তে চাওয়া মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রাজধানীর গুলিস্তানে। ঢাকার অনেক এলাকায় মানুষের চাপ কম থাকলেও গুলিস্তানসহ দূরপাল্লার বাসস্ট্যান্ডমুখে তীব্র চাপ আছে। তবে সব স্পটকে ছাড়িয়ে গেছে গুলিস্তানের যানজট।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এই রুট দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে গাড়িতে যাওয়া এবং নৌপথের যাত্রীদের চাপ থাকায় রাত অবধি তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে এবার লম্বা ছুটির কারণে অনেকে আগেভাগে ঢাকা ছেড়েছেন। কেউ আবার বুধবার (২৬ মার্চ) ছুটির দিনে পরিবারের লোকজনকে গ্রামে পাঠিয়েছেন। যে কারণে ধারণা করা হচ্ছিল অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেছে ঢাকা। কিন্তু গুলিস্তান-পল্টন এলাকায় এলে ধারণা পাল্টে যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাত আটটার ফুলবাড়িয়া-গুলিস্তান-পল্টন হয়ে ঢাকার বাইরের বাসগুলোর কারণে লম্বা যানজট দেখা গেছে। দূরপাল্লার বাসের যাত্রীদের সঙ্গে ঢাকার মধ্যে চলা বাসের যাত্রীরাও লম্বা সময় যানজটে আটকা পড়েছেন।
বিজয়নগর পানির ট্যাংকির পর থেকে গুলিস্তান মাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে থমকে আছে যানবাহন। গুলিস্তান থেকে ফুলবাড়িয়া হয়ে বংশাল পর্যন্ত সড়কের দুই পাশেই যানজট।
পুরো পথে পিরোজপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, মাদারীপুর, যশোর, বাগেরহাটে রুটের বিভিন্ন কোম্পানির বাসগুলোকে যাত্রী নিয়ে যানজটে আটকে থাকতে দেখা গেছে। বাসের কাউন্টারগুলোর সামনেও বাস অপেক্ষায় দেখা গেছে।
গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের সামনে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আজাদুর রহমানের সঙ্গে।
ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, সারাদিন এমন চলছে। বিকেলের দিক থেকে গাড়ি চলে না এমন অবস্থা হয়েছে। বড় গাড়িগুলোর জন্য বেশি যানজট বেশি হচ্ছে।
যানজটের কারণে ভিক্টর বাস থেকে নেমে ফুলবাড়িয়া হেঁটে যাওয়া যশোরের যাত্রী ফরিদুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, বাস ছাড়ার সময় হয়ে যাচ্ছে। যে জ্যাম বাসে বসে থাকলে বাড়ি যাওয়া হবে না। তাই নেমে হেঁটে যাচ্ছি।
গুলিস্তান এলাকায় যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নজরে পড়েছে। ফুলবাড়িয়াতে সময়ের আগে গাড়ি খুব একটা আসতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে ফুলবাড়িয়া থেকে সোজা সড়ক পারাপারের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সব বাস জিরো পয়েন্টের দিক থেকে ঘুরে পদ্মা সেতুর দিকে যেতে হচ্ছে।
গুলিস্তানের যানজটের অন্যতম কারণ ফুটপাত থেকে শুরু করে মূল সড়কে হকারদের উৎপাত। এ বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বেশিরভাগ রাস্তা দখল করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে যানবাহন ও মানুষের চাপের কারণে ভোগান্তি আগের মতোই রয়ে গেছে।
ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি। সিনিয়র স্যাররা মনিটরিং করছেন। কিন্তু মানুষ এবং যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় অন্য সময়ের চেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে।
বিইউ/এমআর