নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
এবার যে সাত গুণী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে একজন বাদে সবাই মৃত। এটার জন্য আক্ষেপ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জীবদ্দশায় স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তি দেখতে না পারা বেদনাদায়ক। তবে দেরিতে হলেও তাদের সম্মান প্রদর্শন করতে পেরে দেশের সবাই আনন্দিত বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আমাদের মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার চাইতে জীবদ্দশায় পুরস্কার পেলে যে আনন্দ, দেশের জন্য, পরিবারের জন্য, ব্যক্তির জন্য; তা মরণোত্তর পুরস্কারে পাওয়া যায় না। যাকে আমরা সম্মান দেখাচ্ছি তিনি আমাদের সঙ্গে নেই।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা যেন আগামীতে একটা নিয়ম করতে পারি, যাদের মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার তাদের পালা শেষ করে দিয়ে যারা জীবিত অবস্থায় আছেন তাদের যেন পুরস্কার দেই। তাদের প্রতি সম্মানটা আমরা দিই। তারা আমাদের জাতিকে মহান উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পুরস্কার দিয়ে আমরা শুধু তাদের সম্মানিত করছি না, আমরা বরং জাতি হিসেবে নিজের সম্মান তাদের মাধ্যমে পাচ্ছি। তারা প্রত্যেকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহুল পরিচিত। তারা জাতির জন্য অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। তাদের জীবদ্দশায় স্মরণ করতে না পারলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবো।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে আইনের শাসন থাকবে, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হবে এবং একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাটতন্ত্র ও গুম-খুনের রাজত্ব চালিয়ে দেশে একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেয়েছি। এ সুযোগ আমরা কোনোক্রমেই বৃথা যেতে দেব না।
জেবি