নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
দেশে হঠাৎ করে নারী নির্যাতন আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত আইন আরও কঠোর করতে চাচ্ছে সরকার। সে লক্ষ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার (১৭ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। পরে বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আজকে নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইন-২০০০-এর বেশকিছু সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়। আমাদের কেবিনেট সেটা নীতিগত অনুমোদন দেয়। ইতোমধ্যে আমরা কিছু মতামত পেয়েছি। সেই মতামতগুলো কাল-পরশু যাচাই-বাছাই করব। বৃহস্পতিবার এই আইনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেবে বলে আশা করছি।
ধর্ষণের বিচারের বিলম্ব হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিএনএ ল্যাব না থাকা এর প্রধান কারণ। এই মুহূর্তে একটি মাত্র ল্যাব আছে। আজ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরও দুটি ডিএনএ ল্যাব স্থাপন করব।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিশেষ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে দ্রুত কিছুসংখ্যক বিচারক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে, যেন ধর্ষণসহ অন্যান্য মামলার বিচার ত্বরান্বিত করা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, সংশোধনীর খসড়ায় শিশু ধর্ষণ মামলা আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সবাই নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে-সম্মতি নিয়ে প্রতারণামূলকভাবে ধর্ষণ একটা আলাদা অপরাধ। সম্মতি ব্যতীত যে ধর্ষণ সেটার বিচার ও তদন্তের সময় কমানো হয়েছে। যেকোনো ধর্ষণ হলে আমরা এই আইনের আওতায় আনছি। ডিএনএ রিপোর্টের জন্য অনেক মামলা বছরের পর বছর পড়ে থাকে।
আসিফ নজরুল বলেন, আমরা এই আইনে বিধান করছি, ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত যদি মনে করে, মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত বিচার করবে। ধর্ষণের উদ্দেশ্যে যদি গুরুতর আহত করা হয় সেটারও গুরুতর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেবি