জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
মসজিদ থেকে জুতা চুরি করে বের হয়ে যাচ্ছিলেন এক যুবক। কিন্তু পরক্ষণেই বুঝতে পারলেন কত বড় ভুলটাই না করে ফেলেছেন। এতো বিচারকের জুতা। ধরা পড়লেন মুসল্লিদের হাতে। শেষমেশ যেতে হলো কারাগারে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা জজ কোর্ট জামে মসজিদে এই চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর শুক্রবার (১৪ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে সুমন নামের সেই যুবককে।
বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন।
তিনি জানান, স্পেশাল জজ আদালত-১০ এর বিচারক রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার দুপুরে জোহর নামজ পড়তে জজ কোর্ট জামে মসজিদে গিয়েছিলেন। সেখানে নামাজ পড়ে দেখতে পান তার জুতা জোড়া নেই। পরে সেখানে থাকা লোকজন একজন ব্যক্তিকে সেই জুতাসহ আটক করে। পরে খবরটি থানায় দেন তারই ব্যক্তিগত সহকারী।
তিনি বলেন, এরপর থানার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং প্রাথমিক তদন্তে চুরির প্রমাণ মিলেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ঢাকা স্পেশাল জজ আদালত-১০ এর স্টেনোগ্রাফার রাসেল মিয়া। এ মামলায় মো. সুমনকে গ্রেফতার দেখিয়ে থানা হাজতে রাখা হয়েছিল। আজ শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহারে যা রয়েছে:
মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, ঢাকা স্পেশাল জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম নিয়মিতভাবে ঢাকা জজ কোর্ট জামে মসজিদে জামাতের সঙ্গে জোহর, আছর এবং ক্ষেত্রবিশেষে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। গত ১৩ মার্চ দুপুরে ওই মসজিদের তৃতীয় তলায় জোহরের নামাজ শেষে অফিসে আসার সময় মসজিদে রাখা তার ব্যবহৃত ১ হাজার ৮৫০ টাকা মূল্যের একজোড়া চামড়ার কালো জুতা খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
এর কিছুক্ষণ পর অজ্ঞাতনামা এক মুসল্লি মো. সুমনকে তার ডান হাতে পলিথিন ব্যাগে দুই জোড়া জুতা দেখে সন্দেহ করে তৃতীয় তলায় নিয়ে আসেন। তখন বিচারক তার জুতাজোড়া শনাক্ত করেন এবং এ সময় সুমনকে আটক করা হয়।
পরে কোতোয়ালি থানায় ফোন করে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং আসামিসহ চুরি করা জুতা জোড়া হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ চোরাই জুতার জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে এবং আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ রবিউল আলমের জিম্মায় দেন।
এমআইকে/ইএ