মোস্তফা ইমরুল কায়েস
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম
- বাস থামিয়ে তুলে নেওয়া হয় তাদের
- দুই পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি
- অপরাধ থাকলে বিচার করা হোক: পরিবার
- কাজে আসেনি হাইকোর্টের নির্দেশও
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে বিরোধী মতের লোকজনকে নানাভাবে দমন করা হতো। এর মধ্যে একটি ছিল তুলে নিয়ে গুম করা। কাউকে খানিকটা ঝুঁকি মনে করলেই তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হতো। গুমের আগে তাদের কাউকে বাসা, অফিস ও বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে নেওয়া হতো। কখনো পোশাকে আবার কখনো সাদা পোশাকে তুলে নিতো পতিত স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী। গুম হওয়া ব্যক্তিদের কেউ কেউ ভাগ্যগুণে ফিরেছেন। বাকিদের ভাগ্যে কী জুটেছে তা কেউ জানে না।
তেমনি কয়েকজন ভুক্তভোগীর সন্ধান মিলেছে ঢাকা মেইলের অনুসন্ধানে। যাদের খোঁজ আজও মেলেনি, কেমন আছে সেই পরিবারগুলো, কী জুটেছিল তাদের ভাগ্যে? এসব নিয়ে ধারাবাহিক পাঁচ পর্বের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই ছয়জন গুম হন। তাদের মধ্যে ছয়জনই কোনো না কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত ছিলেন। যাদের বিরুদ্ধে কোনো থানায় একটি মামলাও ছিল না। কিন্তু এরপরও তাদের ধরে নিয়ে যায় র্যাব ও ডিবি। এর মধ্যে চারজনকে র্যাব, একজনকে ডিবি ও আরেকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাভার মহাসড়কে হানিফ পরিবহনের বাস থামিয়ে র্যাব পরিচয়ের কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী দুই ছাত্র আল মোকাদ্দেস ও শাহ মো. ওয়ালিউল্লাহকে নামিয়ে নেওয়া হয়। তখন বাসের সুপারভাইজারকে বলা হয়েছিল, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এরপর থেকে তাদের আর হদিস মেলেনি। তারা কোথায় আছেন, কেমন আছেন, জানে না ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। নিখোঁজের প্রায় ১২ বছর হতে চলেছে। স্বজনরা এখনো স্বপ্ন দেখেন তারা ফিরে আসবেন।
তারা নিখোঁজের পর দুই পরিবারের সদস্যরা সরকারের বিভিন্ন দফতরে গেছেন। কিন্তু তথ্য ও সহযোগিতা পাওয়ার পরিবর্তে তারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। বিষয়গুলো এতদিন তারা কাউকে বলতেও পারেননি। সেই সময় পরিবার দুটির পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর হাইকোর্টে রিটও করা হয়। কিন্তু রিটকারীকে উল্টো ঢাকা ছাড়তে হয়েছে। আবার কেউ নাম পাল্টিয়ে অন্যখানে জীবনযাপন করেছেন।

সম্প্রতি ভুক্তভোগী দুই পরিবারের স্বজনদের সাথে ঢাকা মেইলের এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তাদের কথায় উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক তথ্য।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চান। যদিও র্যাবের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি শাহ ওয়ালিউল্লাহ এবং মুকাদ্দেস কোথায় আছেন, সেদিন কারা তাদের তুলে নিয়েছিল- এ নিয়েও কোনো তথ্য জানাতে পারেনি র্যাব। অথচ সেদিন র্যাব পরিচয়ে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়েছিল। যার প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষীও রয়েছে।
কী ঘটেছিল সেই রাতে
যে দুজনকে বাস থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে একজন হলেন মুহাম্মদ মুকাদ্দাস হুসাইন। তিনি পিরোজপুরের কদমতলার খানাকুনিয়ারীর ফকিরবাড়ি গ্রামের মুহাম্মদ আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার আল ফিকহ বিভাগের ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষের আইন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মুকাদ্দাস বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। মুকাদ্দাস থাকতেন ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে। তিনি ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসেন এবং একই দিন কল্যাণপুর বাস স্টেশন থেকে রাত সাড়ে ১১টায় হানিফ এন্টারপ্রাইজে (বাস নম্বর ঝিনাইদহ-৩৭৫০, সিট নম্বর সি-১) কুষ্টিয়ার পথে রওনা হন।

রাত প্রায় ১টার দিকে বাসটি নবীনগর পৌঁছালে র্যাব-৪ এর পরিচয়ে গাড়িটি থামানো হয়। এ সময় ৮-১০ জন র্যাবের পোশাক পরিহিত এবং সাদা পোশাকের ব্যক্তিরা তাকে নামিয়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি সেই গাড়ির সুপারভাইজার সুমন নিশ্চিত করেন। এই ঘটনার তিন দিন পরেও তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে মুহাম্মদ মুকদ্দাস হুসাইনের চাচা আব্দুল হাই দারুস সালাম থানায় জিডি (৩১৭নং) করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হানিফ বাসের সুপারভাইজার
সেদিন সাভার হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে যখন তাদের নামিয়ে নেওয়া হয় সেই সময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনাস্থলে ছিলেন বাসের সুপারভাইজার সুমন। তার সঙ্গে ঢাকা মেইলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
মুকাদ্দাসের চাচা আব্দুল হাই ঢাকা মেইলকে বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে কল করেছিলাম। কিন্তু আমার পরিচয় জানার পর ফোনটা রিসিভকারী ব্যক্তি বললেন- এই নামে কেউ আর থাকে না। কিন্তু আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, সেই ব্যক্তিই সুমন। হয়ত তখন ভয়ে কথা বলেনি।
এ ঘটনায় সেই বাসের সুপারভাইজার সুমনের নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
রিটকারীকে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি ডিবির
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, তারা জিডি হওয়ার পর থানা পুলিশ ও র্যাবের সহযোগিতা চাইলেও কোনো সাহায্য পাননি। পরে মুকাদ্দাসের চাচা সেই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট করেন। চাচা আব্দুল হাই রিট করে বড় বিপাকে পড়েন। ডিবি পুলিশ সদস্যরা গভীর রাতে আব্দুল হাইয়ের বাসায় অভিযান চালায়। সেই সাথে মোবাইল ফোনে তাকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার হুমকিও দেওয়া হয়। ফলে তিনি তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে অন্যত্র চলে যান। এক পর্যায়ে আব্দুল হাই ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর আর গত ১২ বছরেও ঢাকায় আর থিতু হতে পারেননি তিনি।

গুম করার চেষ্টাও হয় রিটকারীকে!
মুকাদ্দাসের চাচা আব্দুল হাই বলেন, আমি প্রায়ই মিডিয়ার সামনে কথা বলতাম। ফলে আমাকে দমাতে না পেরে ডিবির তৎকালীন প্রধান মনিরুল ইসলাম আমার বাসার গেটে আসেন এবং টিম নিয়ে হামলা করেন। আমার বাসায় গিয়ে আমাকে না পেয়ে তারা গালাগালি করছিল। ওই সময় আমি টের পেয়ে পাশের বাসায় পালিয়ে যাই এবং অন্যখানে আশ্রয় নিই। এরপর ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হলাম। কারণ আমার ফোন কল ট্র্যাক করতো। এরপর কুমিল্লায় ১৬ দিন ছিলাম। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ছিলাম। পরে বাড়িতে চলে যাই। এরপর আমাকে আরেকবার অ্যাটাক করে গাড়িতে। সাভারের দিকে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে একটা লোক আমাকে খুঁজছিল। পরে আমি বিআরটিসি বাসের পেছনের গেট গিয়ে নেমে দ্রুত সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যাই। শুধু তাই নয়, হাইকোর্টে হাজিরা দিতে গেলেও খুব সতর্ক থাকতাম। আদালতের গেট দিয়ে গুম করা হবে এমন তথ্যও পেয়েছিলাম। এ কারণে অন্য গেট গিয়ে ঢুকতাম।
‘অপরাধ থাকলে আদালতে হাজির করা হোক’
ছেলেকে নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর মুকাদ্দাসের বাবা সরকারের বিভিন্ন দফতরে ঘুরেছেন। র্যাব, পুলিশ ও ডিবি পর্যন্ত গিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। মাসের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো তাকে, তার পরিবারকে শুধু ঘুরিয়েছে। মুকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্লাহ কোথায় এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র কোনো তথ্য দিয়ে তারা সাহায্য করেনি। উল্টো হয়রানি করেছে।
ছেলের অপেক্ষায় থাকা আল মুকাদ্দাসের বাবা আব্দুল হালিমের সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয়। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, এ ঘটনার বিচার না হলে এই জাতির ওপর আল্লাহর গজব নাজিল হবে। আমি বারবার বলেছি, তাকে মিসিং করা যাবে না। তাকে হাজির করা হোক। তার যদি অপরাধ থাকে আমার সামনে বিচার করা হোক। তাকে মিসিং করা যাবে না, হাজির করতে হবে, এই কথাগুলো আমি সবখানে ঘুরে ঘুরে বলেছি।
ছেলেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর আব্দুল হালিম তাকে ফেরত পেতে র্যাবের সদর দফতরেও গিয়েছেন। সেখানে তৎকালীন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধানের (তৎকালীন প্রধান সোহায়েল, যিনি এখন গ্রেফতার) সাথেও দেখা করেছেন। কিন্তু তারা তাকে শুধু আশ্বাস দিয়েছেন, খুঁজে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা করেননি। উল্টো সেখানে তাকে কোনো কারণ ছাড়াই এক ঘণ্টা বসিয়ে রেখেছিলেন সেই কর্মকর্তা।

মুকাদ্দাসের বাবা বলছিলেন, আমি র্যাব সদর দফতরে গিয়েছিলাম। মিডিয়া উইংয়ের প্রধানের সাথেও দেখা করলাম। তাকে নানা প্রশ্ন করছিলাম। এক পর্যায়ে তিনি আর আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিলেন না। এরপর বললেন, আমিও চেষ্টা করছি, আপনারাও চেষ্টা করেন।
আল মুকাদ্দাসের ছোট ভাই মুকাররক হুসাইন বলেন, আমার ভাই এখনো বেঁচে আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা ভাইকে অনেক জায়গায় খুঁজেছি। কিন্তু কেউ আমাদের খোঁজ দেয়নি। আমরা আমার ভাইয়ের খোঁজ চাই, তাকে ফেরত চাই। সরকারকে বলব, তাকে যেখানেই রাখা হোক না কেন খুঁজে বের করে আমাদের ফেরত দেন। আমার ভাই অপরাধ করলে তার বিচার করেন, তবুও আমরা আমার ভাইকে ফেরত চাই।
আশা ছেড়ে দিয়েছে নিখোঁজ ওয়ালিউল্লাহর পরিবার!
সাভার থেকে একই রাতে তুলে নেওয়া হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র শাহ মো. ওয়ালিউল্লাহকে। তার নিখোঁজের পর ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওয়ালিউল্লাহর বড় ভাই খালিদ সাইফুল্লাহ। এছাড়াও তার ভাই সেই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সেই রিটের পর র্যাবকে ওয়ালিউল্লাহ ও মুকাদ্দাসের ফোন কল লিস্ট মোবাইল কোম্পানির কাছ থেকে সংগ্রহ করে তা হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত। এরপর ১৪ এপ্রিল র্যাবের কর্মকর্তা কয়েকটি হাতে লেখা নম্বর হাজির করেন। কিন্তু পরের তারিখেও তারা অরিজিনাল কল লিস্ট জমা দিতে ব্যর্থ হন।

এত বছর পর কেমন আছেন সেই পরিবারের সদস্যরা- জানতে চাইলে ওয়ালিউল্লাহর বড় ভাই খালিদ সাইফুল্লাহ ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। কারণ কাজের কাজ কিছু হয় না। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলে উল্টো কষ্ট পাই। আমাদের কষ্টের পরিমাণটা বেড়ে যায়। এত বছর হলো কোথাও সন্ধান পেলাম না। সেই ঘটনার পর র্যাব পরিচালকের সাথে আমরা দেখা করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা এ বিষয়ে গুম কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছি। আসলে এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে ইচ্ছা করে না। বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, বিভিন্নভাবে কথা বলেছি, কোনো লাভ হয়নি।
তখন র্যাব ছিল নীরব, এখন যা বলছে
সেই সময় এই দুটি ভুক্তভোগী পরিবার র্যাবের সাভার ক্যাম্প ও র্যাব সদর দফতরে গেলে কোনো সহযোগিতা পায়নি। এ বিষয়ে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান মুনিম ফেরদৌস ঢাকা মেইলকে বলেন, এ বিষয়ে জাতীয় গুমসংক্রান্ত কমিশন কাজ করছে। তারা আমাদের কাছে যেসব তথ্য চাচ্ছেন আমরা সেসব তথ্য দিয়ে তাদের সহযোগিতা করছি।
মানবাধিকার কর্মী, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, র্যাব তাদের তুলে নিয়ে গেলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দফতরে ভুক্তভোগী পরিবারকে অভিযোগ দিতে হবে। সেই সাথে বিষয়টি তদন্ত করে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে জানাতে হবে তারা বেঁচে আছে কি না। আর মরে গেলে বা হত্যা করা হলে সেটাও জানাতে হবে। কারণ পরিবারগুলো একটা অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। তাদের সম্পর্কে জানালে অন্তত পরিবারগুলো কিছুটা সান্ত্বনা পাবে।
এই আইনজীবী বলেন, তবে এসব ঘটনায় যারা জড়িত ছিল অবশ্যই তাদের শাস্তির আওতায় আনতেই হবে। না হলে পরবর্তী সময়ে আবারো অন্য বাহিনীর কেউ এমন কাজ করার সাহস করবে।
এমআইকে/জেবি