images

জাতীয়

একুশের আবহে বইমেলায় বাড়ছে ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম

images

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও বইমেলা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর বইপ্রেমীরা দলে দলে চলে আসেন বইমেলায়। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা খোলা থাকে বইমেলা। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) একুশের প্রথম প্রহরে ছোট শিশু থেকে বড় সবাই একযোগে বইমেলা প্রাঙ্গণে পদচারণায় মগ্ন হয়ে ওঠে।

মেলার শিশু চত্বর ছিল শিশুদের পদচারণায় মুখরিত। বাবা-মায়ের হাত ধরে ছোট ছোট শিশুরা সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, যিনি তার সন্তানকে নিয়ে মেলায় এসেছেন, জানান—‘৫২’র ভাষা আন্দোলনের মহিমা আর জুলাই আন্দোলনের উত্তাল তরুণদের সংগ্রামের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আজ বইমেলায় এসেছি। নতুন প্রজন্মকে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতেই তাদের নিয়ে এখানে এসেছি।’

boi-me

মোহাম্মদপুর থেকে আসা নাফিসা হক নীলা বলেন, ‘আমি আমার ২ বছরের মেয়েকে নিয়ে এসেছি যাতে সে ছোটবেলা থেকেই একুশের চেতনা ধারণ করতে পারে।’

এছাড়া, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফারহা জামান জানান, ‘আজ বইমেলায় আসতে ভীষণ ভালো লাগছে, কারণ চারদিকে একুশের আবহে সব কিছু সুন্দর লাগছে।’

boi2

বইমেলায় কালো পাঞ্জাবি পরিহিত তরুণদের একটি দলও দেখা যায়, যারা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বইমেলায় এসেছেন।

এদিকে, প্রকৃতির ঋতুরাজ বসন্তের উপস্থিতিতে বইমেলায় একুশের আবহ সাদা কালো রঙের আধিক্য দেখা যায়।

boi3

বইমেলা এখন সত্যিই জমে উঠেছে একুশে ফেব্রুয়ারির পর। প্রকাশক, লেখক এবং পাঠকরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে। একাধিক স্টল মালিক ও প্যাভিলিয়নের কর্মকর্তারা জানান, ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে বইমেলায় বিক্রি বাড়বে।

চন্দ্রদ্বীপ প্রকাশনীর বিক্রেতা রাফসান সিরাজী জানান, ‘এখন পর্যন্ত পাঠকরা পছন্দের বইয়ের তালিকা করেছেন। আজ থেকে তারা বই কিনতে শুরু করবেন।’

এমই/এইউ