images

জাতীয়

আগুন নিভলেও এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয় কনটেইনার ডিপোটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ জুন ২০২২, ০৯:১৬ এএম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিভে গেলেও এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয় ডিপোটি।

সেখানে থাকা অবিস্ফোরিত হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কন্টেইনারগুলো আলাদা করা হলেও আরও কোনো কনটেইনারে রাসায়নিক আছে কিনা এখনো তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া আলাদা করা কনটেইনারগুলো ঠান্ডা করার পরও যদি পরিমিত তাপ থাকে তাহলে আবার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। ফলে এখনো ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।

আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছুটা শঙ্কা থাকলেও এখন আর বড় ধরণের আগুন লাগার ভয় নেই।

সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিএম কনটেইনার ডিপোটিতে আগুন লেগেছিল গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে।

chittagong-1আগুন নেভাতে একে একে ছুটে যায় চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট। পরে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা থেকেও যোগ দেয় কয়েকটি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ২৫টি ইউনিউ আগুন নেভাতে নিরলস পরিশ্রম করে।

কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণে বাড়ে আগুনের ভয়াবহতা। আগুন ও বিস্ফোরণে রোববার পর্যন্ত প্রশাসন ৪৫ জন নিহতের তথ্য দিলেও সোমবার এই সংখ্যাটা ৪১ বলে জানানো হয়। পরে সংখ্যাটা আরও দুইজন বাড়িয়ে ৪৩ জন বলা হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও দমকল বাহিনীর চেষ্টায় প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর আগুন নিভলেও এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয় কনটেইনার ডিপোটি।

chittagong-2ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক আনিসুর রহমান জানান, বিস্ফোরিত ১৫ কন্টেইনারে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড পাওয়া গেছে। আরও ১২টি কন্টেইনারে এমন রাসায়নিক আছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে। সেসব কন্টেইনারে অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থও থাকতে পারে। নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সেগুলো খুলছি না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পর সেগুলো খোলা হবে।

জানা গেছে, ডিপোতে দুর্ঘটনার সময় কনটেইনার ছিল চার হাজার ৩১৩টি। এর মধ্যে পণ্যভর্তি ছিল শতাধিক কনটেইনার, যার মধ্যে কমপক্ষে ২৭টিতে ছিল কেমিক্যাল।

এর মধ্যে বিস্ফোরণে ১৫টি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ১২টি ক্যামিকেল ভর্তি কনটেইনার নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হলেও এখনো সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। আরও কোনো কনটেইনারে কেমিক্যাল আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

chittagong-3আনিসুর রহমান বলেন, কনটেইনারে কেমিক্যাল থাকার বিষয়টি মালিকপক্ষ এখনো আমাদের নিশ্চিত করতে পারেনি। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ কনটেইনার সরাতে বলেছি।

কনটেইনার ঠান্ডা করার পরও যদি পরিমিত তাপ থাকে তাহলে আবার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। সব দিক চিন্তা করে আমরা কাজ করছি।

কনটেইনার সরানোর ব্যাপারে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল আছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, কেমিক্যাল সরাতে গেলেও বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি আছে। এখানে কেমিক্যাল, গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ আছে। ফিনিশড গুডস জাতীয় বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। যেগুলো আগুনের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। সেগুলো দ্রুত সরাতে বলা হয়েছে।

এমআর