images

জাতীয়

তিন পুলিশকে পেটানোর ঘটনায় মামলা, আসামি ৪৫০

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৮ জুন ২০২২, ০১:০৭ এএম

রাজধানীর জুরাইন এলাকায় মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ মামলায় সাড়ে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

গ্রেফতাররা হলো— মোটরসাইকেল চালক সোহাগ উল আলম রনি, তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশাত ও  শ্যালক ইয়াসির আরাফাত। সোহাগ নিজেকে একটি নামধারী পত্রিকার সাংবাদিক দাবি করেছেন। 

মঙ্গলবার (৭ জুন) সন্ধ্যা সাতটার দিকে শ্যামপুর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আলী হোসেন। 

মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিদের অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্যামপুর থানার ওসি মফিজুল আলম। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলে চার থেকে সাড়ে ৪০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। হামলার শিকার  ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেন। 

তিনি জানান, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলার ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেফতার তিনজনকে আগামীকাল আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। 
  
এর আগে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালের দিকে জুরাইন রেলগেট এলাকায় উল্টোদিক থেকে একটি মোটরসাইকেল আরোহী আসার চেষ্টা করলে তাকে থামায় ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন। এ সময় তিনি তার কাগজ দেখতে চাইলে তর্কবিতর্ক বাঁধে।  একপর্যায়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেনকে মারধর করে মোটর চালক রনি  এ দৃশ্য দেখে দুই পুলিশ সদস্য এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। এরপর মোটরসাইকেলচালক রনিকে ধরে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হলে মোটরসাইকেলে থাকা নারী চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং কোনো কিছু না বুঝে তারা ট্রাফিক সার্জেন্টসহ দুই পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালায়। পরে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। 

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক ওয়ারি বিভাগের ডিসি সাইদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এদের মধ্যে আলী হোসেনের হাতে ২১টি সেলাই লেগেছে। বাকি আহত পুলিশ সদস্য ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার এসআই উৎপল চন্দ্রকে রাজারবাগ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ডিসি শাহ ইফতেখার আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ ওই নারীর চিৎকার শুনে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা করেছিল। পরে তারা সেই হামলার ভিডিও ধারণ করে ছোট ছোট ক্লিপ বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ে।  ফলে ভুল বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।  

এমআইকে/এএ