জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
দেশজুড়ে আলোচনায় গুমের শিকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে আটকে রাখার স্থান ‘আয়নাঘর’। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একাধিক উপদেষ্টা ও গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে এসেছেন বিশেষ কায়দায় তৈরি করা সেই আয়নাঘর। পরিদর্শনকালে সঙ্গে যাওয়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম আয়নাঘর ঘুরে এসে লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন সেখানকার বীভৎসতার দৃশ্য। খুব অল্প জায়গায় কীভাবে একজন মানুষ একা একা দিন কাটাতেন সেই কথা তুলে ধরেছেন, যে কথা ভাবলেই হয়তো সবাই আঁতকে উঠবেন।
গুমের শিকার প্রতিটা মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা গণঅভ্যুত্থানের সরকারের অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন শেষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, নৃশংস! এটাই আমাদের দেখা সবচেয়ে ভয়ংকর আয়নাঘর। তিন ফুট বাই এক ফুটের সেল। দুই বিঘত জায়গায় টয়লেট। বাকি দুই ফুটে হাঁটু মুড়ে বসে থাকার জায়গা। আমার মনে হয় জুলাই অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিগুলোর একটি হলো গুমের শিকার মানুষদের মুক্তি। বাংলাদেশে যেন আর কখনো গুমের মতো মানবতাবিরোধী কিছু না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।
এই উপদেষ্টা আরও লিখেন, আমরা সরকার গঠনের মাত্র ১৯ দিনের মাথায় গুম কমিশন গঠন করেছি, যারা দিনরাত কাজ করে নৃশংসতার বিবরণগুলো ডকুমেন্ট করেছেন। ২১ দিনের মাথায় আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী কনভেনশনে সই করেছি। আজকে মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসী দেখবেন হাসিনার নৃশংসতার কিছু নমুনা। আরও শ শ নমুনা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে।
মাহফুজ আলম লিখেন, গত ৬ মাস গুম কমিশন গুমের ভিক্টিমদের সাক্ষ্য নিয়ে, তদন্ত করে গুমের স্থান, কাল ও সত্যতা নিরূপণ করেছেন। সে সূত্রে আইসিটি ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। বিচারের কাজও শুরু হয়েছে। গুমের শিকার প্রতিটা মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা গণঅভ্যুত্থানের সরকারের অঙ্গীকার।
বিইউ/এমএইচটি