images

জাতীয়

রাষ্ট্রপতির ক্ষমার এখতিয়ার নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম

কোনো দণ্ডিত অপরাধীকে ক্ষমা প্রদর্শনে রাষ্ট্রপতি বা নির্বাহী বিভাগের যে এখতিয়ার রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিশন।

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

মোট ২৮ দফা প্রস্তাবের ছয় নম্বরে রয়েছে 'রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন' সংক্রান্ত অংশটি। এতে বলা হয়েছে, ‘আদালত কর্তৃক চূড়ান্তভাবে দণ্ডিত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি বা নির্বাহী বিভাগ কর্তৃক ক্ষমা প্রদর্শনের একচ্ছত্র ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বোর্ড প্রতিষ্ঠা, যার সুপারিশের ভিত্তিতে ক্ষমা প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।’ সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে 'ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার' দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়ার ঘটনা আলোচনা সমালোচনা তৈরি হওয়ার নজির রয়েছে। ২০১১ সালে লক্ষ্মীপুর জেলায় স্থানীয় বিএনপি নেতা নুরুল ইসলামকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এএইচএম বিপ্লবকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। বিপ্লব স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের ছেলে। 

Commison

এছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের বিষয়টিও আলোচিত। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ২০১৮ সালের মে মাসে কারাগার থেকে মুক্তি পান জোসেফ। ফ্রিডম পার্টির নেতা মোস্তফা হত্যা মামলায় ২০০৪ সালে জোসেফকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ঢাকার জজ আদালত। হাইকোর্ট ওই রায় বহাল রাখলেও ২০১৫ সালে আপিল বিভাগ তার সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

আরও পড়ুন

কতজনের সাজা মওকুফ করেছেন রাষ্ট্রপতি, তালিকা চেয়ে নোটিশ

এদিকে গত ২০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে এই আইনজীবী বলেন, বছরের পরে বছর রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ক্ষমা করা হয়েছে। এর ফলে, জনমনে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা হয়। ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়। এই ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে নীতিমালা প্রণয়ন করা আবশ্যক।

জেবি