মোস্তফা ইমরুল কায়েস
০৫ জুন ২০২২, ১০:৫৫ পিএম
দুই দিন আগেই নিমতলী ট্র্যাজেডির এক যুগ পূর্ণ হয়েছে। সেই শোকের রেশ যেন এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে দেশের মানুষ সাক্ষী হলো আরও এক বিভীষিকাময় রাতের। নিমতলী, চুড়িহাট্টা আর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ট্রাজেডি একই সূত্রে গাঁথা। এই তিন স্থানেই রাতের বেলাতেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এছাড়া তিনটি স্থানেই শুরুতে আগুন লাগে এবং পরে তা কেমিক্যালের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
শুধু কেমিক্যালের কারণেই দেশে বারবার অসংখ্য প্রাণ ঝরছে। গত এক যুগে প্রায় আড়াইশ’ মানুষের প্রাণ গেছে এই কেমিক্যালের কারণে। চুড়িহাট্টা ও নিমতলীর ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নানা সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে দীর্ঘ সময়েও এই সুপারিশগুলোর কোনোটাই বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণেই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, প্রতিটি ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। সে অনুযায়ী কমিটি তদন্ত করে রিপোর্টও দেন। সেই সঙ্গে তারা বিভিন্ন সুপারিশও করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় কী পরিমাণ কেমিক্যাল ছিল এবং ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কী পরিমাণ বেগ পেতে হয়েছে। এরপর কিছুদিন গেলেই থেমে যায় আলোচনা। নানা সুপারিশ করা হলেও সেগুলো বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষেরও কোনো আগ্রহ থাকে না।
২০১০ সালের ৩ জুন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয় পুরান ঢাকার নিমতলীতে। পরে পাশে থাকা একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ওই মুহূর্তেই পুরো এলাকায় আগুন ছেয়ে যায়। কিছু বোঝার উঠার আগেই প্রাণ চলে যায় ১২৪ জনের।
ভয়াবহ ওই ট্র্যাজেডির পর দাবি উঠেছিল পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যালের কারখানা ও ব্যবসা তুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এর বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে কয়েক বছর পর (২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি) একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায়। সেখানে প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ হলে পাশে থাকা ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভবনেই মজুদ করা হয়েছিল বিভিন্ন কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ। সেই সঙ্গে ভবনের আশপাশ ছড়িয়ে ছিল কেমিক্যালের দোকান ও গোডাউনে।
সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মুহূর্তেই পুরো এলাকায় আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে কেমিক্যালের দোকানগুলোতে আগুন লাগায় তা নিয়ন্ত্রণে নিতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। এই আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয় ৭০ জন মানুষ। পুরান ঢাকার এই দুর্ঘটনা অনেক প্রাণ কেড়ে নিলেও তা থেকে শিক্ষা নেয়নি কেউ। ওই সময়ও ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক অধিদফতর থেকে এমন দুর্ঘটনা রক্ষা পেতে অনেক সুপারিশ করা হয়েছিল। এরমধ্যে অন্যতম উদ্যোগ ছিল চুড়িহাট্টা এলাকা থেকে রাসায়নিক কেমিক্যালের দোকানগুলো ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়া। যা আজ অবধি বাস্তবায়িত হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুর্ঘটনার পর সবার টনক নড়ে। তার আগে সকলে অচেতন অবস্থায় থাকে। দুর্ঘটনা ঘটলেই আসে নানান প্রতিষ্ঠান ব্যর্থতার কথা। কিন্তু সে সকল প্রতিষ্ঠানে থেকে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নানা সুপারিশ করা হলেও তা বাস্তবায়ন ও মেনে চলার মনোভাব খুব কম। এ কারণে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে।
তারা আরও বলছেন, রাসায়নিক পদার্থ ক্ষতিকারক-ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়টি সবার জানা। কিন্তু বড় বড় কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি এসবের পরও দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া এলাকায়ও নিষিদ্ধ করা হয়নি রাসায়নিক পদার্থ বিক্রি ও গুদামজাতের ব্যবসা। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত লাভের আশায় কেমিক্যাল ও রাসায়নিক পদার্থ আমদানি ব্যবসা করছে। তবে সর্বশেষ সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে এ ধরনের কেমিক্যাল আনা বা মজুদ করার কোনো অনুমোদন ছিল কি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরাও কিছু বলতে পারছেন না।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিমতলী ও চুড়িহাট্টার চেয়েও ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। ফলে এত হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সেই কনটেইনারে বিস্ফোরক বা কেমিক্যাল ছিল এটা জানানো হলে এমন কিছুই ঘটতো না। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সচেতনভাবে কাজ করতেন। সবার আগে সেই কনটেইনার থেকে কেমিক্যাল সরানোর কাজ করতেন তারা। কিন্তু আগুন লাগার পর সংশ্লিষ্ট কেউ তাদের বিষয়টি জানায়নি, এমনকি জানানোর প্রয়োজন বোধও করেনি। এ কারণে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের নয়জনের প্রাণ গেল।
এ ব্যাপারে সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর (অপারেশন) দিনমণি শর্মা ঢাকা মেইলকে বলেন, চট্টগ্রামের ঘটনায় ‘হাইড্রোজেন পারক্সাইড’ (কেমিক্যাল) থেকে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। হাইড্রোজেন পারক্সাইড আগুনের সঙ্গে বাতাস পেলে জ্বলতেই থাকে। শুধু তাই নয়, জ্বলার সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন ছাড়তে শুরু করে। যেহেতু কনটেইনারের মুখ খোলা ছিল না ফলে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, এই হাইড্রোজেন পারক্সাইড গার্মেন্টসের ইনফেকশনে ব্যবহৃত হয়। রং করা ও কাপড় পরিষ্কারে এটি ব্যবহার করা হয়। নিমতলী ও চুড়িহাট্টার ঘটনায় আলাদা কেমিক্যাল ছিল। নিমতলী, চুড়িহাট্টা থেকে সীতাকুণ্ডের ঘটনায় আলাদা কেমিক্যাল থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে তিনটি ঘটনাতেই কেমিক্যাল ছিল।
দিনমণি শর্মা জানান, সীতাকুণ্ডের ঘটনায় কন্টেইনার ডিপোতে আগুন নেভানোর কোনো সরঞ্জাম ও ব্যবস্থা ছিল না। এছাড়াও সেই কনটেইনারে কেমিক্যাল ছিল বিষয়টি তাদের আগে থেকে জানানো হয়নি। ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও মনে করেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে আমরা সুপারিশ করেছি। এই সুপারিশগুলো বিভিন্ন দফতর থেকে বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। আমাদের সুপারিশগুলো আমলে নিয়ে বাস্তবায়ন হলে কিন্তু চুড়িহাট্টা ও নিমতলী থেকে সর্বশেষ সীতাকুণ্ডের ঘটনা ঘটতো না। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ার ফলে এতগুলো প্রাণ গেল।
এ বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক মোহা. নায়েব আলী ঢাকা মেইলকে বলেন, এটি বিস্ফোরক নয়, কেমিক্যাল। এছাড়া এটি আমাদের তালিকার মধ্যে নেই। ফলে এ বিষয়টি কে অনুমোদন দেয়, সেটা আমাদের জানা নেই।
এদিকে, বিস্ফোরক পরিদফতরের এর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হাইড্রোজেন পারক্সাইড একটি জারক পদার্থ, শক্তিশালী নয় তবে এটি অক্সিজেন ছাড়ে। যেহেতু বিস্ফোরক পরিদফতর এটি নিয়ে কাজ করে না, সে কারণে কোন সংস্থা থেকে এটি অনুমোদন দেওয়া হয় তা বলা মুশকিল।
অন্যদিকে, ঢাকার নিমতলী ও চুড়িহাট্টার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নানা সুপারিশ করা হলেও সেগুলোর কোনোটাই বাস্তবায়ন হয়নি। নানা ঘটনায় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সেগুলো বাস্তবায়ন হয় না। ফলে এমন সব ঘটনার পর সুপারিশ বাস্তবায়ন হবে তার প্রতিও দেশের মানুষের আর কোনো আস্থা নেই। এ ধরনের রাসায়নিক মজুত ও সংরক্ষণ করে এতবড় ‘হত্যাকাণ্ড’ ঘটানো হয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক।
ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের যে ঘটনা এটি নিমতলী ও চুড়িহাট্টা ঘটনার আরেকটা পুনরাবৃত্তি। আসলে সেটি শুধু সময় ও স্থানের পরিবর্তন। এ ধরনের বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মজুত ও সংরক্ষণের যে যথাযথ প্রক্রিয়া বা কৌশলগুলো অবলম্বন না করে সেটি যত্রতত্র ফেলে রাখার মাধ্যমেই এমন বড় ধরনের ঘটনা বা হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করা, এটি আসলে বাংলাদেশের নতুন কিছু নয়। তিনি মনে করেন, এ ধরনের ঘটনার পর সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়া চরম দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতা।
অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, এ ধরনের ঘটনাগুলো যখন ঘটে যারা হত্যা বা আহত হন, তাদের প্রতি আমরাও সমবেদনা প্রকাশ অথবা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি দেখি। আবার নানা ধরনের প্রতিশ্রুতির কথাও বলি। বিভিন্ন ঘটনার পর বলা হয়, এ ধরনের অবস্থা যেখানে রয়েছে, সেখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু চরম সত্য- ঘটনার রেশ বেশ কিছুদিন পর কেটে যায়। আমরা বিষয়টি অনেকেই হয়তো ভুলে যাই। কিন্তু যারা ক্ষতিগ্রস্ত হন শুধু তারাই বিষয়টি ভুলতে পারেন না। আজ চট্টগ্রামে যে ঘটনাটি ঘটলো এটি একটি উদাসীনতা ও চরম দায়িত্বহীনতা। এ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি দুর্ঘটনা বা অপরাধ তৈরি করে হত্যাযজ্ঞের মতো একটি পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। যার প্রেক্ষাপটে একটা সময়ে এসে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এই অপরাধ বিশ্লেষক বলেন, এখন হয়তো আমরা শুনব এ ঘটনায় কারা দায়ী এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমন কথার ওপর আমরা আর ভরসা রাখতে পারি না। কারণ, অতীতের ঘটনাগুলো ঘটার পর অনেকগুলো সুপারিশ এবং ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও তার কোনোটাই বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে আমাদের আস্থার জায়গা তৈরি হয় না।
অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক আরও বলেন, আসলে দেশে অনেককিছুর দাম আছে, শুধু মানুষের দাম নেই। আর সেই মানুষের মধ্যে যারা খেটে খাওয়া মানুষ, নিম্ন অর্থনীতির মানুষ যারা, আসলে তাদের যে জীবনের মূল্য, এটি রাষ্ট্রের কাছে বা একজন কোম্পানির মালিকের কাছে বা প্রতিষ্ঠানের কাছে এখনও তৈরি হয়নি। আর এই শ্রেণির মানুষ জীবন দিলে একটি নিরাপদ কর্মের অধিকার বিষয়টি নিশ্চিত হবে বা তার জীবন নিয়ে রাষ্ট্র ভাববে বা তার জীবনের মূল্য হবে- এমন ধারণাও ভুল। আসলে একজন মারা গেল অথবা আহত হলে তাকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে যদি প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্র দায়মুক্তি পেতে চায় তাহলে আমাদের কিছু বলার নাই, বরং রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নাগরিকের প্রতি যে করণীয় বা দায়ের জায়গায় একটি বড় ধরনের অঙ্গীকার লঙ্ঘন বলা যায়।
অনেকেই দায়বদ্ধতা ও করণীয়ের জায়গা থেকে দূরে সরে গিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে যে মানবিকতার চেয়ে অর্থ বড়- এই বিষয়টিই আমাদের সামনে তুলে ধরে। সেই সঙ্গে প্রশাসনিক ও এই ব্যবসায় যারা নিয়োজিত তাদের দায়িত্বহীন আচরণ ও নৈতিক এবং পেশাগত আচরণ, পেশাগত জায়গা থেকে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য যে ঘাটতি, এমন সব বিষয়গুলো আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়।
এদিকে, চট্টগ্রামের ঘটনা হাইড্রোজেন পারক্সাইড থেকে ঘটেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা সুলতানা বলেন, কন্টেইনার ডিপোটিতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড রয়েছে। এ কারণে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে।
অন্যদিকে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিমকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. আনিসুর রহমানকে। এছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শামস আরমান (প্রশিক্ষক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, টিসি, মিরপুর), জহিরুল ইসলাম (সিনিয়র স্টেশন অফিসার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, ইপিজেড, সাভার), মো. ওমর ফারুক ভূঁইয়া (ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম)।
উল্লেখ্য, শনিবার (৪ জুন) রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ী ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আমদানিকৃত একটি কন্টেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেখানে থাকা একটি কনটেইনারে ‘হাইড্রোজেন পারক্সাইড’ রাসায়নিকের মজুত থাকায় দফায় দফায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সবমিলিয়ে অন্তত ৪ শতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হয়েছেন। তারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে বিস্ফোরণস্থলে কর্মরত ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকরা।
এমআইকে/আইএইচ