নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
এস আলম গ্রুপের বন্ধ ঘোষণা করা ৮ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিএফআইইউ’র মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ও অপারেশনাল হেড বরাবর চিঠি পাঠায় দুদক। কমিশনের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এস আলম গ্রুপের আটটি প্রতিষ্ঠান হলো— এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস, ইনফিনিটি সি আর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম স্টিল, এম আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস নফ, চেমন ইস্পাত, গ্যালকো স্টিল ও এস আলম ব্যাগ লিমিটেড।
বিএফআইইউকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
চিঠিতে ব্যাংক হিসাব অবরোধ করতে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপভুক্ত বর্ণিত ৮টি প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত হিসাবগুলোতে বিদ্যমান অর্থ যেকোনো সময় স্থানান্তর করা হতে পারে। সেজন্য এস আলম গ্রুপভুক্ত ওই ৮টি প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে পরিচালিত হিসাবগুলো অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করা প্রয়োজন। এস আলম গ্রুপভুক্ত ৮টি কারখানার নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবসমূহ অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবিনয়ে অনুরোধ করা হলো।
ক্ষমতার পালা পরিবর্তনের পর গত ২১ আগস্ট এস আলমের অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরপরই সম্প্রতি এস আলম গ্রুপভুক্ত ৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শিল্পগ্রুপটির পক্ষ থেকে।
এস আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ শিল্পগ্রুপের মালিক সাইফুল আলম ২০১৭ সালে ইসলামি ব্যাংক দখল করে নেন। এরপর ব্যাংকটি থেকে এস আলম গ্রুপ এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ হিসেবে নেয়। ইসলামি ব্যাংক ছাড়া আরও কয়েকটি ব্যাংক দখল করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ টাকা বের করে নেওয়ার অভিযোগ আছে গ্রুপটির বিরুদ্ধে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এস আলমের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত চলাকালে অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র সংগ্রহ করা হবে।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের ৮টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান বন্ধ হওয়া ৮টি কারখানায় কমপক্ষে ১২ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন।
এফএ