নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন আজ জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা একদিন পিছিয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও তদন্ত কমিটির প্রধান নাসিমুল গনি সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
সিনিয়র সচিব বলেন, আগুনের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট আজ নয়, আগামীকাল জমা দেওয়া হবে। এ ঘটনায় সংগ্রহ করা নমুনা বিদেশেও পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য।
এর আগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার জমা দেওয়া হবে।
গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগে। এতে ভবনের ৬, ৭, ৮, ৯ তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে অষ্টম ও নবম তলায় ক্ষতি হয়েছে বেশি, সেখানকার অধিকাংশ নথি পুড়ে যায়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও উৎস খুঁজে বের করে তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: গৃহায়ণ সচিব, পুলিশের আইজিপি, কমিটির সদস্যসচিব থাকবেন ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের প্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ এবং বুয়েট থেকে ৩ জন বিশেষজ্ঞ, একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং একজন ইলেট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার।
এদিকে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেন গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া। তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোরের প্রায় ২০০ কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, আগুনে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোরের প্রায় ২০০টি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কীভাবে আগুন লেগেছে সেটি তদন্ত শেষেই বলা যাবে।
এই কর্মকর্তা বলেন, ভবনটি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করা যাবে কি না, সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই বোঝা যাবে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্পষ্ট হবে সংস্কার সম্ভব কি না। সংস্কার করা সম্ভব হলে সংস্কার কাজে কতদিন লাগতে পারে, সেটিও তদন্ত রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে।
জেবি