images

জাতীয়

১৫ দিনে সড়কের খানাখন্দ মেরামতের আশ্বাস দক্ষিণ সিটির

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম

images

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়কের খানাখন্দ মেরামত করার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসসিসির জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রকৌশল বিভাগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরেন এবং এই বিষয়ে আশ্বাস দেন।

মিজানুর রহমান বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে সড়কে ছোট ছোট খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে, যেগুলো সবার আগে গুরুত্ব দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। তিনি জানান, এই কাজটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর বড় বড় রাস্তার মেরামতের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। চলতি বছরে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নাগরিক সেবার আওতায় রাস্তা খননের জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে অনুমতি দেওয়া হয়, তবে অনেক সময় ওই সংস্থাগুলো নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারে না, যার ফলে কিছু বিলম্ব হয়। এছাড়া, দেশের পরিস্থিতির কারণে কিছু কাজ শুরু হতে দেরি হয়েছে।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, রাস্তা, সারফেস ড্রেন এবং ফুটপাথের জন্য ১৩টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি প্রকল্পের দরপত্র কার্যাদেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা মাঠ পর্যায়ে চলমান রয়েছে। বাকি ৯টি প্রকল্পের দরপত্র প্রক্রিয়া চলছে। সড়ক খননের ১২টি কাজের মধ্যে ৭টি চলমান এবং বাকিগুলো দ্রুত শেষ করা হবে।

ট্রাফিক অবকাঠামো বিষয়ে তিনি বলেন, ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলামোটর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে নতুন সিস্টেম চালু করা হবে। বর্তমানে এই বিষয়ে ৫টি প্রকল্পের মধ্যে ২টি চলমান এবং ৩টির দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জলাবদ্ধতা দূরীকরণ বিষয়েও তিনি কথা বলেন। ওয়াসা থেকে পাওয়া চারটি খাল—মান্ডা, জিরানি, শ্যামপুর ও কালুনগর খনন করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আশা করেন, এই খালগুলোকে পুনরুদ্ধার এবং অবৈধ দখলদারদের সরিয়ে দিলে শহরের জলাবদ্ধতা কমে যাবে।

মিজানুর রহমান জানান, নিউমার্কেট, বুয়েটসহ অন্যান্য জলাবদ্ধতাযুক্ত স্থানগুলোর সমস্যা সমাধানের জন্য পাঁচটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে একটি কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পগুলো আগামী মৌসুমের আগেই শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নতুন সংযোজিত ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজের জন্য চারটি প্রকল্প এবং সংসদীয় এলাকার জন্য চারটি বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ৩৮টি বিশেষ প্রকল্পের মধ্যে ৭টি চলমান এবং ৩১টি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য ৭টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৪টি কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে এবং ৩টি দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মিজানুর রহমান শেষ পর্যন্ত বলেন, যদি এসব কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা যায়, তবে দ্রুত নাগরিকদের জন্য একটি সুন্দর নগর উপহার দেওয়া সম্ভব হবে।

কারই/এইউ