images

জাতীয়

নিউজিল্যান্ডে হাইকমিশন, কাজী নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণার প্রজ্ঞাপন হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম

নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে বাংলাদেশের হাইকমিশন স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এছাড়া, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এসব সিদ্ধান্ত জানায়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুশাসনের সূচকে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। দেশটি মানব উন্নয়ন সূচকে ১৬তম এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা সূচকে ৩২তম স্থানে রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেশি, ফলে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য এটি একটি সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে। এছাড়া, নিউজিল্যান্ডে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন এবং প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ড একটি দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ায়, এটি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এ কারণে অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের যথাযথ সেবা দেওয়া সবসময় সম্ভব হয় না। একইভাবে, প্রবাসী বাংলাদেশিরা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে অর্থনৈতিক ও ভৌত নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন।

নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের হাইকমিশন স্থাপন হলে, প্রবাসী বাংলাদেশিরা সরাসরি কনস্যুলার সেবা পাবে, যা তাদের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।

এছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, নিউজিল্যান্ডে বর্তমানে ভারত, পাকিস্তানসহ ৭২টি দেশ তাদের কূটনৈতিক মিশন পরিচালনা করছে। তাই, বাংলাদেশ যদি সেখানে একটি মিশন স্থাপন করে, তা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে।

বাংলাদেশের বহুমাত্রিক স্বার্থ, যেমন রাজনৈতিক, কৌশলগত, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও প্রবাসীকল্যাণ বিবেচনায় রেখে ওয়েলিংটনে একটি পূর্ণাঙ্গ মিশন স্থাপন করা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হবে। তবে, এ মিশন স্থাপনের সব খরচ পরবর্তী অর্থবছর (২০২৫-২৬) নির্বাহ করা হবে।

এইউ