images

জাতীয়

নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস

ঢাকা মেইল ডেস্ক

১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ এএম

আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে বিএনপি যে অবস্থান নিয়েছে তা উপেক্ষা করা হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্যা হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় দেওয়া ওই সাক্ষাৎকার সোমবার দ্যা হিন্দুর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করা হয়েছে।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কি প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘এটা ইতোমধ্যেই ঘোষিত হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি। বিএনপি এটা করেছে, তারা বলেছে সব রাজনৈতিক দল অবশ্যই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সুতরাং তারা ইতোমধ্যে রায় দিয়ে দিয়েছে। আমরা দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের মতামতকে উপেক্ষা করব না।’

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আপনার কোনো আপত্তি নেই এমন প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো একটি নির্দিষ্ট দল বা পক্ষকে নেওয়ার জন্য আমি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নই। আমি রাজনীতিকদের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করছি।’

আরও পড়ুন

‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম, আরও কমও হতে পারে’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, ‘অন্তত এখন ভারতে অবস্থান করছেন, এটা কোনো সমস্যা নয়। বাংলাদেশ নিয়ে তার কথা বলাটা সমস্যা। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন, আর সেগুলো রাজনীতি নিয়ে। তিনি তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন, এটাই সমস্যা।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তিনি (হাসিনা) মানুষকে বেরিয়ে আসতে বলছেন এবং ঢাকা ও অন্যান্য শহরের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে বলছেন। তার অডিও ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানে তিনি তাদেরকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি সঙ্গে রাখতে বলছেন, যেন পুলিশ বাধা দিলে তারা বলতে পারেন, বাংলাদেশ সরকার আমেরিকার বিরুদ্ধে। এটি অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ।’

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে সরাসরি ভারতকে অনুরোধ করা হলো না কেন?–জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, ‘তাকে ফিরিয়ে আনতে আমরা সব আইনি পথ অবলম্বন করব। আমি মনে করি, কিছু আইনি ধাপ রয়েছে। আমরা সেগুলোর দিকে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা এখনো ওই পর্যায়ে পৌঁছাইনি।’

আরও পড়ুন

১০০ দিনে সবল অবস্থানে অর্থনীতি: ড. ইউনূস

ভারত বাংলাদেশের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলে কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এমন কিছু ধারা আছে। কিন্তু ভারত সরকার যদি তাকে সেখানে রাখতে এগুলো প্রয়োগ করে, তাহলে সেটা আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলবে না। আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ খুব কম। তাই এই সময়ে হয়তো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সবকিছু মীমাংসা করা যাবে না। তবে আমাদের পরে যে সরকারই আসুক না কেন, তারা এটা ক্ষমা করবে না।’

সাক্ষাৎকারে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও আমেরিকার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন ড. ইউনূস। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত তিনি সঠিকভাবে অবগত নন। এটা অপপ্রচার, যা বিশ্বজুড়ে চলছে। কিন্তু যখন তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বাস্তবতা সম্পর্কে জানবেন, তখন জনাব ট্রাম্প অবাক হবেন যে তাকে কতটা ভিন্নভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানানো হয়েছে।’ 

এমআর