কাজী রফিক
৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:০৩ এএম
সরকারের পতনের পর আনন্দিত হওয়ার কথা থাকলেও মো. মামুনের জন্য দিনটি ছিল দুঃখজনক। ৫ আগস্টে এক গণতান্ত্রিক উল্লাসের মাঝে পেটের বাঁ দিকে গুলি লেগে আহত হন তিনি। প্রথমে চিকিৎসা না পেলেও এখন উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন, তবে হাসপাতালে থাকতে হবে আরও কিছুদিন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪২১ নং ওয়ার্ডে ৫৪ নং বেডে চিকিৎসাধীন মামুন জানিয়েছেন, সরকার পতনের খবর পেয়ে গণভবন এলাকায় উল্লাস করতে গিয়ে শ্যামলি এলাকায় এলোমেলো গুলির শিকার হন। গুলির আঘাতে পেটের বাঁ দিকে রক্ত পড়তে শুরু করে এবং তিনি অল্পের জন্য কিডনিতে আঘাত পায়নি, নইলে জীবন সংবেদনশীল অবস্থার শিকার হতে পারতেন।
তিনি বলেন, "গুলিটা ভাগ্যক্রমে কিডনির পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে, নয়তো বাঁচতে পারতাম না।" বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে এবং সেরে উঠতে সময় লাগবে।
মামুন কুড়িগ্রাম জেলার অধিবাসী ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। দরিদ্র পরিবারের এই যুবক পড়াশোনা ছাড়াও ঢাকায় কাজ করেন এবং কিছুদিন রাজমিস্ত্রীর কাজও করেছেন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৪৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আহত হয়েছেন। হাসপাতালের ৪২১ নং ওয়ার্ডে ১৬ থেকে ৫৫ নং বেডে মোট ৪০ জন এবং অতিরিক্ত ১২ নং বেডে একজন রোগী রয়েছে। পোস্ট অপারেটিভ বিভাগে দুইদিন আগে ৪ জন রোগী ছিল, বর্তমানে একজন রয়েছেন। ৫২৬ নং ওয়ার্ডের ১১ নং বেডে এবং ১৩/এ কেবিনে একজন করে রোগী ভর্তি আছেন।
হাসপাতাল পরিদর্শনে দেখা গেছে, সব ওয়ার্ডেই স্বাভাবিক সংখ্যক রোগী রয়েছে এবং চিকিৎসা চলছে। তবে আন্দোলনের সময় এবং সরকার পতনের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সেবার মান নিয়ে কিছু অভিযোগ উঠেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে শিক্ষার্থীরা এসে রোগীদের যত্ন নেওয়া শুরু করেছে এবং অনেকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যান্য হাসপাতালে যাচ্ছে।
কারই